পদ্মার মূল চ্যানেল ঠিক রাখতে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

সেতুর কাজ চলার মধ্যে পদ্মা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ও মূল চ্যানেল ঠিক রাখতে একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Jan 2018, 02:48 PM
Updated : 2 Jan 2018, 02:48 PM

‘শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা’ শীর্ষক এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ১ হাজার ৯৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়েছে ২০২১ সাল।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পটিসহ ১৬টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ২২০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৪ হাজার ৭৪৪ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয় হবে। বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৪৬২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার তহবিল থেকে ১৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকারে জোগান দেওয়া হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পদ্মার তীর রক্ষা প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার ফসলী জমিসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও সম্পদ নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করা।

তিনি বলেন, “ওই এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা এবং নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক ও মূল চ্যানেল বজায় রাখা এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।”

প্রকল্প এলাকাটি পদ্মা সেতু থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার ভাটিতে এবং মেঘনা নদীর মোহনা থেকে ২০ কিলোমিটার উজানে।

মন্ত্রী বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গোপসাগরের জেগে ওঠা নতুন চরে বনায়নের সময় অন্যান্য গাছের সঙ্গে নিম, বট ও ফলদ গাছ লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

অনুমোদন পাওয়া অন্যান্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে,

 ‘দ্য ডিজিস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট’; এর ব্যয় ৬২০ কোটি ২২ লাখ টাকা।

 ‘ময়মনসিংহ বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলায় ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন’ প্রকল্প; ব্যয় ১৩৯ কোটি টাকা।

 ‘মৃত্তিকা গবেষণা ও গবেষণা সুবিধা জোরদারকরণ’ প্রকল্প; এর ব্যয় ৬৩ কোটি টাকা।

 ‘শেখ রাসেল এভিয়ারী ও ইকো-পার্ক স্থাপন, রাঙ্গুনিয়া, চট্রগ্রাম (২য় পর্যায়)’ প্রকল্প। এর ব্যয় ১২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

 ‘বঙ্গোপসাগরে জেগে উঠা নতুন চরসহ উপকূলীয় এলাকায় বনায়ন’ প্রকল্প। এর ব্যয় ১০৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

 ‘চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিদ্যমান রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ের শক্তি বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্প; ব্যয় ৫৪০ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

 চট্টগ্রামের ‘পারকি ও পতেঙ্গায় পর্যটন সুবিধাদি প্রবর্তন প্রকল্প’; এর ব্যয় ৬২ কোটি ১১ লাখ টাকা।

 ‘সালনা (রাজেন্দ্রপুর)-কাপাসিয়া-টোক-মঠখোলা মহাসড়ক (আর-৩১২) প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ’ প্রকল্প; এর ব্যয় ২২৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

 ‘মিরপুর ডিওএইচএস গেইট-২ হতে মিরপুর-১২ বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্প; ব্যয় ১৪৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

 ‘পাগলা-জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-আউশাকান্দি সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলী সেতুর স্থলে ৭টি সেতু এবং নিয়ামতপুর-তাহিরপুর সড়কের আবুয়া নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প; ব্যয় ১৪১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

 ‘পুলিশ বিভাগের আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এনকম ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ’ প্রকল্প; ব্যয় ১৫৬ কোটি টাকা।

 ‘বানৌজো শেরে-ই-বাংলা পটুয়াখালী স্থাপন’ প্রকল্প; ব্যয় ১ হাজার ৮১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

 ‘চট্টগ্রাম আর্টিলারি সেন্টার ও স্কলে মুজিব ব্যাটারী কমপ্লেক্স নির্মাণ” প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮০ কোটি টাকা।

 ‘ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির জন্য স্মার্ট-প্রি-পেমেন্ট মিটারিং’ প্রকল্প; ব্যয় ৪২৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

 ‘শেখ লুৎফর রহমান ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন গোপালগঞ্জ’ প্রকল্প। ব্যয় =১১২ কোটি ৮২ লাখ টাকা।