এক লাখ টন ইউরিয়া আমদানি করবে সরকার

কোরিয়ার তিনটি কোম্পানি থেকে ২৫৯ কোটি ১১ লাখ ৫৩ হাজার টাকায় এক লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করবে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2017, 01:37 PM
Updated : 27 Dec 2017, 04:08 PM

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ইউরিয়া আমদানির এসব প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, কোরিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ২৫ হাজার টন ব্যাগড প্রিল্ড ইউরিয়া সার মংলা বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা হবে।

“প্রতি টন ৩১৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারে ৬৬ কোটি ২৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকায় এই সার আমদানি করা হবে।”

এছাড়া কোরিয়ার আরও দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৭৫ হাজার মেট্রিক টন গ্রানুলার ইউরিয়া সার চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি।

অতিরিক্ত সচিব জানান, প্রতি টন ৩১০ মার্কিন ডলার ব্যয়ে একটি কোম্পানি ২৫ হাজার টন এবং অন্য কোম্পানি বাকী ৫০ হাজার টন সার সরবরাহ করবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৯২ কোটি ৮৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।

আবুধাবি ও সৌদি আরবের দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪ লাখ টন ক্রুড অয়েল আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। এতে ব্যয় হবে চার হাজার ৯০১ কোটি ছয় লাখ টাকা।

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন জলযান নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় দুটি টাগ বোট ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে খুলনা শিপগার্ড লিমিটেড ১৩১ কোটি ২০ লাখ টাকায় এসব টাগ বোট সরবরাহ করবে।

মোস্তাফিজুর জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া সেকশন পুনর্বাসন এবং কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গীপাড়া নতুন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় একটি প্যাকেজের দর বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিটি।

“মূল চুক্তিমূল্য ৭৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা থেকে পাঁচ কোটি ৫৯ লাখ বেড়ে নতুন করে মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭৯ কোটি ১৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।”

ই-জিপি সিস্টেম পরিচালনা ও বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল ইপ্লিমেন্টেশন অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ভারতের একটি প্রতিষ্ঠানকে ৪৪ কোটি ১৫ লাখ টাকায় পরামর্শক সেবা সংক্রান্ত কাজ দেওয়া হয়েছে।

রূপকল্প-৩ প্রকল্পের আওতায় ‘কসবা ১’ এর কূপ খনন এলাকায় একটি গভীল নলকূপ, পাম্প হাউজ ও পাইপ লাইন নেটওয়ার্ক, ক্যারাভান ফাউন্ডেশন, মাস্টার ড্রেন, প্যালাসাইডিং, ইন্টারনাল রোড, আরসিসি পাইপসহ আনুষাঙ্গিক নির্মাণ কাজ করতে মেসার্স মনি কনস্ট্রাকশনকে ৬০ লাখ ৪১ হাজার টাকায় কাজ দেওয়া হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর।

এছাড়া রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রূপকল্প-৫ শীর্ষক প্রকল্পের অধীন বেগমগঞ্জ-৩ ওয়াকওভার কূপের একটি কাজের জন্য মেসার্স স্লামবার্গার টিয়াকোকে ৭৫ লাখ ৮২ হাজার টাকায় কাজ দিয়েছে সরকার।

এদিন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সীমান্ত নদী তীর সংরক্ষণ ও উন্নয়ন (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সীমান্তবর্তী ১৫টি নদীর তীর ভাঙ্গন থেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে সুরক্ষায় ৩৪ দশমিক ৬০ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ একটি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য পিপিআর পদ্ধতি অনুসরণের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।