চালের দামের কারণে অনেক অসুবিধা হয়েছে: অর্থমন্ত্রী

গত কয়েক মাসে চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে গেছে কিনা তা নিশ্চিত হতে বছর খানেক অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Dec 2017, 10:54 AM
Updated : 24 Dec 2017, 10:54 AM

রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের লভ্যাংশ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

অধিক শুল্ক হারের কারণে আমদানি বন্ধ থাকা, বোরো মৌসুমে হাওরে বন্যায় ফসলহানি, মজুদে ঘাটতিসহ নানা কারণে কোরবানির ঈদের পর থেকেই চড়তে থাকে চালের দাম। এর মধ্যে মোটা চাল প্রতিকেজি ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা, আর সরু চাল ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় উঠে যায়।

নতুন আমন চাল বাজারে এলে দাম কমবে বলে ব্যবসায়ীরা আশার কথা শোনালেও এখনো চালের দামে খুব একটা হেরফের হয়নি।

গত কয়েক মাসে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় পাঁচ লাখ ২০ হাজার মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে গেছে বলে সম্প্রতি এক গবেষণা উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।

এ বিষয়ে প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, “তাৎক্ষণিক রিপোর্ট শুড নট বি ট্রাস্টেড, বিকজ দরিদ্র কমছে, বাড়ছে এটার জন্য অন্ততপক্ষে বছর খানেক দেখা দরকার। ইউ সি, সো এন্ড অফ দ্য ইয়ার কি হবে আই ডোন্ট নো।”

আরেক প্রশ্নে মুহিত বলেন, “দামের কারণে অনেক অসুবিধা হয়েছে নো ডাউট, কারণ অনেক বেড়ে গেল তো দামটা।

“আমরা চেয়েছিলাম দামটা কিছু বাড়ুক, বিকজ ফারমার্স প্রাইস অনেক কম ছিল, সেদিক দিয়ে ভাল ইট হ্যাজ বিন গুড ইন এ ওয়ে। ৫০ এর উপরে উঠে যাওয়ায় কিছু লোকের অসুবিধা হয়েছে, তাদের যা কিছু সঞ্চয় ছিল তা হয়ত খরচ হয়েছে।”

গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রতন কুমার নাগ অর্থমন্ত্রীর কাছে লভ্যাংশের ছয় কোটি সাত লাখ ৪০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।

দ্রুতই নাগাদ গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে বলে এসময় জানান অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “অলরেডি শিডিউল টিডিউল বানানো হয়ে গেছে মনে হয়। অনেক কেইস টেইস করে দিয়েছে, ইউনুস সাহেব অথবা তার সমর্থকরা কেস করতে খুব ওস্তাদ। অ্যানি ওয়ে, আই থিংক বিফোর আওয়ার টামর্স এন্ড নিউ গ্রামীণ ব্যাংক উড বি দেয়ার,  নিউ বোর্ড অব ডাইরেক্টর্স উড বি দেয়ার।”

গ্রামীণ ব্যাংকের চরিত্র বদলে গেছে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “অবস্থার এমন পরিবর্তন হয়েছে যে এখন গ্রামীণ ব্যাংকের যারা গ্রাহক তারা মোস্টলি টাকা নেন ফর স্মল এন্টারপ্রাইজ। যার ফলে এখন গ্রামীণ ব্যাংক প্রফিট করে।

“দিস ইজ এ ভেরি ইমপর্টেন্ট ইনডিকেটর অফ সোসাল চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ। মেজরিটি যেখানে গরিব ছিল, এখন ইট ইজ ওনলি ২৫ পার্সেন্ট-২২ পার্সেন্ট গরিব আছে। সোসাল চেঞ্জ বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে হয়েছে।”