রোববার ওয়াশিংটন ডিসিতে শীর্ষ আন্তর্জাতিক এই ঋণদাতা সদর দপ্তরে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় বলে ঢাকা অফিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এবিষয়ে বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের কমিউনিকেশনস অফিসার মেহেরিন আহমেদ মাহবুব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করা হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ সরকার এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে।
“প্রকৃত দরিদ্ররাই যাতে এই কর্মসূচির সহায়তা পায় সেটা নিশ্চিত করতে ‘সেফটি নেট সিস্টেমস ফর দি পুওরেস্ট প্রজেক্ট’ হাতে নেওয়া হয়েছিল। এই প্রকল্পেকে জোরদার করতেই অতিরিক্ত ঋণ সহায়তা হিসেবে ২৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক।
প্রকৃত দরিদ্র মানুষ বাছাই করতে এই ঋণ দিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সহায়তায় ‘ন্যাশনাল প্রভাট্রি ডাটাবেজ’ তৈরি করা হবে বলে জানান মেহেরিন।
বিশ্বব্যাকের ঢাকা অফিসের অপারেশন ম্যানেজার রাজশ্রী এস পারালকারের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ব্যয় করছে। এই অংক দেশটির মোট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির (জিডিপি) ১ দশমিক ৪ শতাংশ।
দরিদ্র পরিবার চিহ্নিত করে তাদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনার মধ্য দিয়ে দারিদ্র বিমোচন ও অভ্যন্তরীণ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে এ কর্মসূচির মাধ্যমে।।
বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ভাতা কার্যক্রম, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি কর্মসূচী, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা ও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা কার্যক্রমসহ এই কর্মসূচির আওতায় ২০২১ সাল নাগাত দারিদ্র্যের হার ১৩ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন এই ঋণ সহায়তাসহ বাংলাদেশ সরকারের এই কর্মসূচিতে বিশ্বব্যাংকের মোট সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াবে ৭৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার। ২০১৯ সালের ৩০ জুন এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
ছয় বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ এই ঋণের সুদের হার হচ্ছে দশমিক ৭৫ শতাংশ।
বিশ্ব ব্যাংক এ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ২৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে।