নির্বাচন সামনে রেখে উন্নয়ন কাজ: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, আগামী নির্বাচনে পুনরায় জিতে ক্ষমতায় থাকতেই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ অন্যান্য উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2017, 05:07 PM
Updated : 13 Dec 2017, 05:07 PM

বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বার্ষিক সম্মেলন’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

আওয়ামী লীগের নেতা কামরুল বলেন, “একটা পলিটিক্যাল সরকারের সব কাজে একটা উদ্দেশ্যে থাকে। মানুষের উপকার করব, এই উপকারের পেছনেও একটা লক্ষ্য থাকবে, আগামী নির্বাচন। সেই টার্গেট নিয়েই আমরা কাজ করছি।”

“আমরা ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ হব, এরপর ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হব। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরাই সেই ভাবেই কাজ করে যাচ্ছি,” বলেন তিনি।

সরকারের ১৪৫টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির জন্য বাজেটের ২ শতাংশ বরাদ্দ হয়ে থাকে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাজেটের আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এইখাতে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণও বাড়ছে।

খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের যৌথভাবে আয়োজিত দিনব্যাপী এই সম্মেলনে একটি  অধিবেশনে বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, “আমরা এক সময় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে পিছিয়ে গিয়েছিলাম, সেই জায়গা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পেরেছি।”

তবে উন্নয়ন হলেও একই সঙ্গে বৈষম্যও বাড়ছে বলে দাবি করেন এই বাম নেতা।

তিনি বলেন, “যারা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে উপকারভোগী তাদেরকে কখনও সংগঠিত করা যায়নি, তাদেরকে সংগঠিত করতে হবে। এরফলেই এসব কর্মসূচির প্রকৃত উদ্দেশ্যে সাধন হবে।”

বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশও করেন মেনন।

সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব আবু মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, প্রতিবছরই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও সুবিধাভোগী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।

“বর্তমানে ৬০ শতাংশ মানুষ এসব কর্মসূচির আওতায় আছে, ধীরে ধীরে তা ১০০ শতাংশ করা হবে।”

উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সভাপতি খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, “আমরা চাই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় যারা আছেন, তাদের পরিমাণ না বেড়ে কমে যাক। এর জন্য দরকার কর্মসংস্থান। কর্মসংস্থান বাড়ানো গেলে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে মানুষের পরিমাণও কমে আসবে।”

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসিফ শাহান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক এম খালিদ মাহমুদ, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ রিসার্চ ফেলো নাজনীন আহমেদ, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের পরিচালক চন্দন জেড গোমেজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।