সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, শেষ দিন বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৬১৬ করদাতা তাদের রিটার্ন জমা দিয়েছেন। এই অংক গত অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ শতাংশ বেশি।
মোট কর আদায় হয়েছে ৪ হাজার ২৮১ কোটি ৩২ লাখ টাকা, যা গত বছরের চেয়ে ২৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, সারা দেশে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কর দেওয়ায় এনবিআর চেয়ারম্যান করদাতাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রিটার্ন জমার পাশপাশি দুই লাখ ৭৯ হাজার ৬২৬জন করাদাতা বর্ধিত সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। এই সংখ্যা যোগ করলে রাত পর্যন্ত মোট রিটার্ন জমার পরিমাণ হবে সাড়ে ১৮ লাখ ৩৭ হাজার।
রাত ৮টার পরও রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোর কর অঞ্চলে বেশ কিছু রিটার্ন জমা পড়েছে।
আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, যারা রিটার্ন জমা দেননি এবং সময় বাড়ানোর আবেদন করেননি তাদেরকে এখন জরিমানাসহ রিটার্ন জমা দিতে হবে।
গত ১ থেকে ৭ নভেম্বর ঢাকাসহ সারা দেশে আয়কর মেলায় ২ হাজার ২১৭ কোটি টাকার কর আদায় হয়েছিল। রিটার্ন জমা দিয়েছিলেন সাড়ে ৩ লাখের মতো করদাতা।
১২ নভেম্বর থেকে কর অঞ্চলগুলোতে শুরু হয় আয়কর মেলা। ২০ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ট্যাক্স কার্ড বিতরণের আবেদন সংগ্রহ করা হয়। আবেদনকারীদের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে কার্ড দেওয়া হবে।
শেষ দিন বৃহস্পতিবার পালিত হয় আয়কর দিবস।
দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচা, পল্টন এলাকায় কর অঞ্চল-২, ৩ ও ৪ এ সরেজমিন পরিদর্শনে দিয়ে দেখা যায়, করদাতাদের বেশ ভিড়। কেউ রিটার্ন জমা দিচ্ছেন। আবার কেউ রিটার্ন জমা দেওয়ার পর ট্যাক্স কার্ডের জন্য আবেদন করছেন।
শেষ দিনে রিটার্ন দাখিল ও আয়কর প্রদানের সুবিধায় যতক্ষণ পর্যন্ত করদাতা রিটার্ন দাখিল করেন ততক্ষণ পর্যন্ত কর অফিস খোলা রাখা হয় বলে এনবিআরের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।