এ বিষয়ে রোববার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও এডিবির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে চুক্তিতে সই করেন ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আযম ও এডিবির নতুন আবাসিক প্রতিনিধি মনমোহন প্রকাশ।
‘থার্ড পাবলিক প্রাইভেট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফ্যাসিলিটি-ট্রান্স-১’ শীর্ষক প্রকল্পটিতে এডিবির এই ঋণ বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
এই অর্থের মধ্যে মধ্যে ২৫ কোটি ডলার কঠিন শর্তের ঋণ অর্থাৎ লন্ডন আন্তঃব্যাংক সুদহারের (লাইবর) সঙ্গে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ হারে সুদ যোগ করে পাঁচ বছরের রেয়াতকালসহ ২০ বছরের মধ্যে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এর জন্য সব মিলে প্রায় ৩ শতাংশ সুদ দিতে হবে।
আর বাকি এককোটি ডলার নমনীয় ঋণ হিসেবে পাঁচ বছরের রেয়াতকালসহ ২৫ বছরে ২ শতাংশ হারে সুদে পরিশোধ করতে হবে।
পরে ইআরডি সচিব বলেন, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি (ইডকল) এ তহবিল পরিচালনা করবে। এই তহবিলের অর্থ দিয়ে ১০ থেকে ১৫টি অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়ন করা হতে পারে।
শফিকুল আযম বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে চীনের সঙ্গে ‘পদ্মা রেল সংযোগ’ প্রকল্পের চুক্তি সম্পাদিত হতে পারে। এর মধ্যে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পে ৫০ কোটি ডলার করে মোট এক বিলিয়ন ডলার ছাড় হতে পারে।
“চলতি অর্থবছরে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে দাতাদের কাছ থেকে ৭০০ কোটি ডলার ছাড়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।”
শুধু এডিবির কাছ থেকেই এক বিলয়ন বা ১০০ কোটি ডলার ছাড় হবে বলে আশার কথা শোনান তিনি।
এডিবির আবাসিক প্রতিনিধি মনমোহান প্রকাশ বলেন, “আমি এ দেশের উন্নয়নের শুভাকাঙ্ক্ষী। আমরা এদেশের উন্নয়নে অবদান রাখার চেষ্টা করবো।”