মাতারবাড়িতে আরেকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে জাপানি কোম্পানি

কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে এলএনজিভিত্তিক একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে জাপানি এক কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে সই করেছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2017, 02:39 PM
Updated : 8 Nov 2017, 02:39 PM

৫০০ থেকে ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এ কেন্দ্রটি ২০২১ সালের মধ্যে উৎপাদনে আসবে বলে বিডিনউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম।  

বুধবার কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড-এর পক্ষে কোম্পানির সচিব মো. মিজানুর রহমান এবং জাপানের মিৎসুই এন্ড কোং লিমিটেড (এশিয়া প্যাসেফিক)-এর প্রকল্প অবকাঠামো বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ইউজি উয়েদা সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

মাতারবাড়িকে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ‘বিদ্যুৎ হাব’ ঘোষণা দিয়েছে সরকার; যেখান থেকে পর্যায়ক্রমে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। মাতারবাড়িতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলারও কাজ চলছে।

কয়লাভিত্তিক ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনে ইতোমধ্যেই জাপানের তিনটি কোম্পানির একটি কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি করেছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি। এই কেন্দ্রের সঙ্গেই একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হচ্ছে।      

এছাড়া মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক আরও পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার; যে কেন্দ্রগুলো থেকে প্রায় ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। 

প্রতীকী ছবি

আবুল কাশেম বলেন, সব প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এতে ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হতে পারে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ৫০ শতাংশ করে মালিকানা থাকবে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি ও মিৎসুই এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের।

এদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চুক্তি শেষে আবুল কাশেমসহ মিৎসুই এন্ড কোম্পানির প্রতিনিধিরা প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে দেখা করেন। তারা প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীকে জানান।

প্রতিমন্ত্রী মিৎসুই এর এই বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

রোববার দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি ও জার্মানির সিমেন্সের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। আমদানি করা এলএনজিভিত্তিক ৩৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হবে পটুয়াখালীর পায়রাতে।

বর্তমানে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা (ক্যাপটিভসহ) ১৫৮২১ মেগাওয়াট। বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনায় ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

সরকারি ও বেসরকারি খাতে ১২ হাজার ৩৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন। ৭৩৭৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪১টি কেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া পরিকল্পনাধীন ৯ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৪টি প্রকল্প।