এসডিজি: বিদেশি সাহায্যনির্ভর না হওয়ার পরামর্শ মুহিতের

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিদেশি সাহায্যের উপর নির্ভরশীল না থেকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ কাজে লাগাতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2017, 06:55 AM
Updated : 24 Oct 2017, 07:14 AM

মঙ্গলবার ঢাকার একটি হোটেলে গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর ইফেকটিভ ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের স্টিয়ারিং কমিটির চতুর্দশ সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।

সভার শুরুতে সভাপতির বক্তৃতায় বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভাল করায় বাংলাদেশ বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। প্রবল ইচ্ছাশক্তির কারণেই বাংলাদেশের পক্ষে তা সম্ভব হয়েছে।

“উন্নয়নশীল দেশগুলোকে কেবল বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজের দেশের সম্পদের ব্যবহারে উদ্যোগী হতে হবে।”

মুহিত বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য যে টেকসই উন্নয়নমাত্রা ঠিক কার হয়েছে তা অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং সমন্বিত।

“সম্পদের ব্যবহার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এটা সবচেয়ে বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মিলিয়ন ডলার খরচ ও বৈদেশিক সাহায্যের বিষয় বলা আছে।

“আমাদের সীমিত অভিজ্ঞতা দিয়েও আমরা জানি, বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির প্রক্রিয়া বেশ জটিল। সে কারণে বিভিন্ন দেশ নিজেদের সম্পদ দিয়ে বেশ ভাল কাজ করেছে। এমনকি তারা এমডিজির প্রত্যাশিত লক্ষ্যের চেয়েও বেশি অগ্রগতি দেখাতে সক্ষম হয়েছে।”

উন্নয়নশীল দেশগুলোর উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, “গতানুগতিকতার বাইরে এসে উদ্যোগী হতে হয়। নিজস্ব ইচ্ছাশক্তিকেও কাজে লাগাতে হবে।”

কেনিয়ার নাইরোবিতে গ্লোবাল পার্টনারশিপের গত সভার প্রসঙ্গ টেনে মুহিত বলেন, “আগের সভায় আমরা সহযোগিতার ক্ষেত্রে ছয়টি অগ্রাধিকার চিহ্নিত করেছিলাম। সেগুলোর অগ্রগতি এবার জানা যাবে।”

সভায় জার্মানির ফেডারেল মিনিস্ট্রি অব ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের মহাপরিচালক ডোমিনিক শিলার বলেন, “গ্লোবাল পার্টনার ও স্টিয়ারিং কমিটির মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সমন্বয় তৈরি করার ক্ষেত্রে এই সভা ভূমিকা রাখবে। আমি চাইব, দেড় দিনের এ সভায় আমরা কেবল সারাংশে পড়ে না থেকে বিস্তারিত আলোচনার দিকে যাব।”

উগান্ডার অর্থ, পরিকল্পনা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হারুনা ক্যাসোলো কিয়েউন বলেন, “এসডিজি উচ্চাকাঙ্ক্ষী, তা ঠিক। সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা অর্জনে আমাদের উদ্যোগ নেওয়ার সময় এসেছে।”

দক্ষিণের দেশগুলোকে এ বিষয়ে আরও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।