দুর্যোগে ব্যাংক খাতের ৭ ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রস্তুতির পরামর্শ

যখন বড় ধরনের দুর্যোগ হয়, তখন ব্যাংক খাতে সাত ধরনের ঝুঁকির কথা জানিয়ে তা মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি রাখার পরামর্শ এসেছে এক গবেষণা প্রতিবেদনে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Oct 2017, 03:51 PM
Updated : 5 Oct 2017, 04:00 PM

বৃহস্পতিবার ঢাকার মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।

‘অ্যাড্রেসিং ডিজেস্টার রিস্ক বাই ব্যাংকস : বাংলাদেশ পারসপেক্টিভ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব।

দুর্যোগে ব্যাংক খাতের যে ঝুঁকিগুলো তিনি চিহ্নিত করেছেন, সেগুলো হল- ঋণ, নিরাপত্তা, তারল্য, সুদের হার, দক্ষতা সঙ্কট, সুনাম এবং সামষ্টিক অর্থনীতি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বড় ধরনের দুর্যোগে ব্যাংকে কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়, তার তথ্য ব্যাংকের কাছে নেই। ব্যাংকগুলো এ তথ্য সংরক্ষণে অনীহ। আমানত, বিনিয়োগ প্রভাব এ সম্পর্কিত কোনো তথ্য সংরক্ষণ করে না।

দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্যাংকগুলোকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়নের পক্ষে ৪৭ শতাংশ ব্যাংকার মত দিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

যাবতীয় কৃষি ঋণ বিতরণে বীমার আওতায় আনার সুপারিশও করেন আহসান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, “বাংলাদেশের মতো দেশে দুর্যোগে ব্যাংকিং খাত থমকে যায়। প্রায়ই সুদ মওকুফ, ঋণ পুনঃতফসিল করতে হয়। এ কারণে এ খাতে বিরূপ প্রভাব পড়ে।”

প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি ২০১৫ সালের মতো রাজনৈতিক গোলযোগেও ব্যাংক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজুর আহমেদ বড় দুর্যোগে ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি এড়াতে বীমার আওতায় আনার সুপারিশ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিচালক (গবেষণা উন্নয়ন ও কনসালটেন্সি) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জী।

অনুষ্ঠানে‘ইমপ্যাক্ট অব এডপটিং ব্যাসেল অ্যাকর্ড ইন দ্যা ব্যাংকিং সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, শক্তিশালী ব্যাংকিং ব্যবস্থার জন্য ব্যাসেল-৩ অনুযায়ী পুঁজি সংরক্ষণ জরুরি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের অধ্যাপক ইয়াছিন আলী বলেন, ব্যাংক খাতে কিছু ক্ষেত্রে অস্থিরতা চলছে। হঠাৎ ব্যাংককর্মীদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। আবার অন্য খাতের লোকজনকে বড় বেতনে ব্যাংকে সিনিয়র পদে বসানো হচ্ছে। এটি ব্যাংক খাতের জন্য ভালো খবর নয়।

মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আমীন বলেন, ব্যাংক খাতে সুশাসনটা জরুরি। খুব তাড়াহুড়া না করে পরিকল্পনা তৈরি করে ব্যাচেল-৩ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।