তিনি বলছেন, প্রতিবছরই তারা এ ধরনের পূর্বাভাস দেয়, যার প্রতিফলন অর্থবছর শেষে দেখা যায় না।
প্রায় এক দশক ৬ শতাংশের বৃত্তে ‘আটকে’ থাকার পর গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের ‘ঘর’ অতিক্রম করে। চূড়ান্ত হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয় ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। এরপর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরে এগিয়ে বাংলাদেশ অর্জন করে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।
চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে সরকার ৭ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য ঠিক করেছে। অর্থমন্ত্রী মুহিত বলে আসছেন, প্রবৃদ্ধির হার আর কখনও ৭ শতাংশের নিচে নামবে না বলেই তার বিশ্বাস।
এ বছর দুই দফা বন্যার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় কৃষি খাতে এবার প্রবৃদ্ধি কম হবে বলে মনে করছে বিশ্ব ব্যাংক।
“তবে শিল্প ও সেবা খাতের ওপর ভর করে বাংলাদেশ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেতে পারে,” বলা হয়েছে সংস্থাটির ষান্মাষিক প্রতিবেদন ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেটে’।
বুধবার বিশ্ব ব্যাংকের এই পূর্বাভাস প্রকাশের পর সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এটা প্রত্যেক বছরই তারা করে, প্রত্যেক বছরই আমি একই মার্ক দেই, এবারও তাই দিচ্ছি। তাদের স্টেটমেস্টস আর অলওয়েজ লোয়ার দেন হোয়াট হ্যাপেন্স। এটা জাস্টিফাইড... এজন্য যে তারা নিজেদের সূত্রে এসব খবর দেয়।”