আন্তর্জাতিক এ ঋণদাতা সংস্থার ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান চিমিয়াও ফান বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে বিশ্ব ব্যাংক প্রস্তুত আছে। অন্যান্য দাতা সংস্থার মতো বিশ্ব ব্যাংকও পরিস্থিতি ‘গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ’ করছে।
বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি ‘রিফিউজি ফান্ড’ নামে নতুন একটি তহবিল গঠন করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শরণার্থীদের সহায়তা দিতেই এ তহবিল।
চিমিয়াও ফান বলেন, এই তহবিলের আকার ২০০ কোটি ডলার। যে কোনো দেশ প্রয়োজনে সেখান থেকে তিন বছর মেয়াদে সর্বোচ্চ ৪০ কোটি ডলার ঋণ নিতে পারে।
“বাংলাদেশও এই তহবিল পাওয়ার যোগ্য এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় একসঙ্গে ৪০ কোটি ডলার পেতে পারে।”
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী নতুন করে অভিযান শুরুর পর গত ২৫ অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত চার লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। আরও চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে গত কয়েক দশক ধরে।
রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিতে গিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক চাপের মুখে পড়বে কিনা- এ প্রশ্নের উত্তরে জাহিদ হোসেন বলেন, “অপ্রত্যাশিত একটা চাপ তো পড়বেই। খরচের উপর চাপ তো আছেই। সেই চাপ ছোট না বড়- সেটা নির্ভর করবে কত দিন বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা দিয়ে যেতে হবে তার ওপর।”
বিপুল সংখ্যক এই শরণার্থীর জন্য খাবার ও অন্যান্য খরচ যোগাতে গিয়ে মূল্যস্ফীতি বাড়বে কিনা- এ প্রশ্নে বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বলেন, “মূল্যস্ফীতি বাড়বে। স্থানীয় পর্যায়ে (যে এলাকায় শরণার্থীরা অবস্থান নিয়েছে) মূল্যস্ফীতির চাপ অবশ্যই আসবে।”
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসে তাদের ষান্মাষিক প্রতিবেদন ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রকাশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।