নাগরিকদের আয়কর দিতে উৎসাহিত করতে মঙ্গলবার ঢাকার মিরপুরে এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-এসডিজি অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের দারিদ্র্যমুক্ত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা। কিন্তু আমার হিসাব অনুযায়ী, আমরা ২০২৪ সালের মধ্যেই দারিদ্র্যমুক্ত হব।”
মুহিত বলেন, দারিদ্র্যমুক্ত মানে এই নয় যে দেশে তখন কোনো লোক গরিব থাকবে না। তখনও প্রায় ৭ শতাংশ মানুষ দরিদ্র থাকবে।
“দারিদ্র্য বিমোচনে এখন বাজেটে বরাদ্দ হয় জিডিপির ২ শতাংশের মত। সেটাকে আমরা অনবরত বাড়িয়ে যাচ্ছি।”
মিরপুর শপিং কমপ্লেক্সের কনভেশন সেন্টারে ‘আয়কর ক্যাম্প ও করদাতা উদ্বুদ্ধকরণ’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে সরকারের লক্ষ্য পূরণে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চান অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আপনাদের সহায়তা না হলে রাষ্ট্রটা সামনে এগোবে না। আপনারা যদি রাষ্ট্রের জন্য রসদ সরবাহ না করেন, কর না দেন, শুল্ক না দেন, মূসক না দেন তাহলে রাষ্ট্র আপনাদের কাছে সেবা পৌঁছাবে কীভাবে?”
চলতি অর্থবছর রেকর্ড চার লাখ কোটি টাকার বাজেট দেওয়া মুহিত আগামী অর্থবছরে সাড়ে চার লাখ বা তার কিছু বেশি টাকার বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান।
সাংসদ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ অনুষ্ঠানে বলেন, যারা কর ও রিটার্ন দাখিল করেন না, তাদের জন্য এক থেকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে। এটা আরও কঠিন করা উচিৎ।
“আমরা যদি বেছে বেছে পাঁচ কোটি লোকের হিসাব অনলাইনে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যেই এটা সোনার বাংলা হয়ে যাবে।”
এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, “দেশে এখন রাজস্ববান্ধব সংস্কৃতি চালু হয়েছে, রাজস্ব সেবা ইউনিয়ন পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
দেশের মানুষ কর দিচ্ছে বলেই সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের মত বড় প্রকল্প নিতে পারছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, এবার আগামী ১ থেকে ৭ নভেম্বর আয়কর মেলা, ২৪ নভেম্বর থেকে আয়কর সপ্তাহ এবং ৩০ নভেম্বর আয়কর দিবস উদযাপন করা হবে।