এআইআইবির কাছে ১ ‍বিলিয়ন ডলার চায় বাংলাদেশ

এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক- এআইআইবির কাছ থেকে সাতটি প্রকল্পের জন্য ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 August 2017, 09:00 AM
Updated : 3 August 2017, 12:28 PM

ব্যাংকটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডি জে পান্ডিয়ান বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে দেখা করতে এলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।

বৈঠকের পর এক সংবাদ ব্রিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এখন ব্যাংকটি প্রস্তাবনাগুলো বিচার বিশ্লেষণ করে দেখবে।”

এআইআইবির অর্থায়নে ‘ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম আপগ্রেড অ্যান্ড এক্সপানশন’ এবং ‘ন্যাচারাল গ্যাস ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইফিসিয়েন্সি ইমপ্রুফমেন্ট’ নামে দুইটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ চলছে জানিয়ে মুহিত বলেন, “দুইটাই জ্বালানিতে; সেখানে বৈচিত্র্য দরকার। নতুন তালিকা দিয়েছি।”

নতুন প্রস্তাবিত সাত প্রকল্পের তিনটি রেলওয়ের জন্য ক্রয় প্রস্তাব জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, চাকি চারটির একটি গজারিয়ায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প।

“বাকি তিনটি হচ্ছে, ‌‘আপগ্রেডেশন অব পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম ইন ওয়েস্ট জোন’, ‘এক্সপানশন অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং পাওয়ার সিস্টেম ইন চিটাগাং এরিয়া’ এবং ‘কনস্ট্রাকশন অব এ ব্রিজ ইন বরিশাল দুমকি রোড’।”

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে অবকাঠামো উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, “সেদিকে আমরা এখনো দৃষ্টি দেইনি।”

সংবাদ ব্রিফ্রিংয়ে বাংলাদেশ এআইআইবির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশ মন্তব্য করে ব্যাংকটির ভাইস প্রেডিডেন্ট ডি জে পান্ডিয়ান বলেন, এআইআইবির প্রথম প্রকল্পটি ছিল বাংলাদেশের। এটা থেকেই গুরুত্ব বোঝা যায়।

“বাংলাদেশের সম্ভাবনাও অনেক। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেশ ভালো। ১০ বছরেরও বেশি সময় দেশটি ৬-৭ শতাংশ করে তা ধরেও রেখেছে।”

এআইইউবির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন পূর্বমুখী কূটনীতির অংশ কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, “ইয়েস, এটা হচ্ছে এশিয়ার শতাব্দী। এশিয়াতে ব্যাপক পরিমাণ অবকাঠামোর অভাব রয়েছে। সুতরাং সুযোগও অনেক রয়েছে। সম্পদও বিপুল পরিমাণে এশিয়াতে কেন্দ্রীভূত হয়ে আছে।

“আমেরিকা একটি উন্নত দেশ। কিন্তু তারা মূলত একটা কনজিউমার সমাজ। বিনিয়োগ সেখানে তত পাওয়া যাচ্ছে না, যেটা এখানে পাওয়া যাচ্ছে। সঞ্চয় একটা এশিয়ান হেবিট। এক সময় বলা হত- জাপান এখানে ভালো। এখান দেখা যাচ্ছে, চীন আরো ভালো। কোরিয়া-ভারতও ভালো করছে।”

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে চলতি মাসে চীন সফরে যাচ্ছেন জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিকভাবে যে প্রকল্প বা অর্থায়নের বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে, সেটার সঙ্গে এই বিনিয়োগের কোনো সম্পর্ক নাই। সেটা দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ঠিক করব।”