রেমিটেন্সে সুখবর নিয়ে শুরু অর্থবছর

অর্থবছরের প্রথম মাসে ১১১ কোটি ৫৫ লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছে, যা গত বছরের একই মাসের চেয়ে ১১ শতাংশ বেশি।

আবদুর রহিম হারমাছি প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2017, 03:48 PM
Updated : 1 August 2017, 03:48 PM

গত কয়েক মাস ধরে খরা চলার মধ্যে রেমিটেন্সের এই ঊর্ধ্বগতি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সুখবরই দিচ্ছে।

দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি রেমিটেন্সের নিম্নগতি সরকারের নীতি-নির্ধারকদের কপালে ভাঁজ ফেলেছিল। রেমিটেন্স বাড়াতে মাশুল না নেওয়াসহ নানা ঘোষণাও দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মঙ্গলবার প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ১১১ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার (১.১১ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন।

এরমধ্যে সরকারি ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৭ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।দুটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯৮ লাখ ডলার।

৩৯টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ৮১ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। আর নয়টি বিদেশি ব্যাংকের মাধামে এসেছে ১ কোটি ৪২ লাখ ডলার।

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস অগাস্টেও রেমিটেন্স বাড়বে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রবাসীদের ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। তার ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে।”

মাশুল না নেওয়ার ঘোষণা কার্যকর হলে রেমিটেন্স আরও বাড়বে বলে মনে করেন শুভঙ্কর সাহা।

বাংলাদেশের জিডিপিতে ১২ শতাংশ অবদান রাখে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ।

গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এক হাজার ২৭৭ কোটি (১২.৭৬ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল ছয় অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

রেমিটেন্স কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে বিদেশ থেকে অবৈধ পথে টাকা পাঠানোকে দায়ী করছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি।

অন্যদিকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের অর্থনীতির নাজুক অবস্থার কথা বলে আসছে আইএমএফ। সেখানে গিয়ে অনেকের বেকার পড়ে থাকার খবরও আসছে।

বাংলাদেশের রেমিটেন্সের অর্ধেকের বেশি আসে মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, কুয়েত ও বাহরাইন থেকে।