‘৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম বন্দর’     

২৪ ঘণ্টা চালু রাখাসহ চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে যে সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাতে ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যপূরণ সম্ভব বলে আশ্বস্ত করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2017, 04:06 PM
Updated : 29 July 2017, 04:08 PM

রাজধানীর একটি হোটেলে শনিবার বন্দর পরিস্থিতি নিয়ে এক গোলটেবিল আলোচনায় ব্যবসায়ীদের শংকা প্রকাশের জবাবে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল এ আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের যে সক্ষমতা রয়েছে এবং যেসব সংস্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে তা দিয়েই ৫০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় অর্জন সম্ভব। তার জন্য ব্যবসায়ী, শুল্ক ও বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয় জরুরি।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) আয়োজনে ‘চিটাগং পোর্ট: কারেন্ট স্ট্যাটাস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এই আলোচনায় বন্দরের সক্ষমতা নিয়ে ব্যবসায়ীরা প্রশ্ন তুলেন।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম খান বলেন, “আমরা সড়ক যোগাযোগ, সমুদ্র বন্দর এমনকি আমাদের এয়ারপোর্টের সক্ষমতায় পিছিয়ে রয়েছি।

“আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলো যেখানে রাতারাতি উন্নয়ন করে ব্যবসার ব্যয় কমিয়ে ক্রেতাদের আগ্রহ সৃষ্টি করছে। সেখানে আমাদের বন্দরসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি করতে না পারায় আমরা পিছিয়ে পড়ছি।”

অনুষ্ঠানে তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক ফারুক হাসান বলেন, “২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির যে টার্গট সরকার নিয়েছে এটা পূরণের জন্য কৌশলে পরিবর্তন আনতে হবে।

“আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলো প্রতিনিয়ত ক্রেতাদের কাছে পণ্য পৌছে দিতে উন্নয়ন করছে। কিন্তু আমরা উন্নতির পরিবর্তে পিছিয়ে যাচ্ছি।”

সক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ও আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, “একটা জাহাজ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু হলে তার ২৪ ঘণ্টা আনলোড আর ২৪ ঘণ্টা রপ্তানি পণ্যের কন্টেইনার তোলার কথা। কিন্তু এখন অনেক জাহাজের অর্ধেকই খালি যাচ্ছে।

এছাড়া আগামী মাস থেকে সপ্তাহের সাতদিন ২৪ ঘন্টা বন্দর খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দুই ঈদ, শবে বরাত ও কদরের মতো কয়েকটা দিন ছাড়া সারা বছর খোলা থাকবে। সুতরাং রপ্তানি বাড়লে বন্দরের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন থাকবে না।

বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল নতুন তিনটি জেটি ও একটা অয়েল জেটি নির্মাণসহ বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন খালেদ ইকবাল।

“২০২১ সালের মধ্যে ওই প্রকল্পের প্রথম ধাপ শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি।”

এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরকে কন্টেইনার জটমুক্ত করতে রেলের একটি জমিতে আরকেটি টার্মিনাল তৈরির বিষয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে প্রাথমিক কথা হয়েছে বলে তিনি জানান।