পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে সুইস রাষ্ট্রদূত ওই তথ্য জানান।
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকার পরিমাণ এক বছরে ২০ শতাংশ বাড়ার খবর সংবাদমাধ্যমে এলে সম্প্রতি বিষয়টি আলোচনায় আসে। সোমবার জাতীয় সংসদেও এ নিয়ে আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত ওই বৈঠকে বলেন, বিভিন্ন আর্থিক ‘ইনস্ট্রুমেন্টের’ মাধ্যম বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর সঞ্চিতি বৃদ্ধির কারণেই সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের সম্পদ বেড়েছে, ব্যক্তিগত অর্থের কারণে নয়।
ব্যাংক গ্রাহকদের তথ্যের গোপনীয়তা কঠোরভাবে রক্ষার যে নীতি সুইজারল্যান্ড দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে বজায় রেখে আসছিল, তা সম্প্রতি শিথিল করা হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সব সদস্য দেশ, জিব্রালটার, অস্ট্রেলিয়া, আইসল্যান্ড, নরওয়ে, জাপান, কানাডা ও দক্ষিণ কোরিয়া রয়েছে ওই ৩৮ দেশের মধ্যে।
এ ছাড়া ‘মাল্টিলেটারাল কম্পিটেন্ট অথরিটি এগ্রিমেন্ট’ এর আওতায় আরও ৪১টি দেশের সঙ্গে তথ্য বিনিময়ের (এইওআই) প্রক্রিয়া সুইস ফেডারেল কাউন্সিলে গৃহীত হয়েছে।
আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বাংলাদেশও এ ধরনের চুক্তি করার জন্য সুইজারল্যান্ড সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে পারে বলে মত দেন বিদায়ী রাষ্ট্রদূত।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সুইস রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জিএসপি প্লাস সুবিধাসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সহযোগিতা জোরদারের মত দ্বিপক্ষীয় বিষয়েও আলোচনা হয় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।