এফআরসির চেয়ারম্যান হলেন মুসতাক আহমদ

গঠনের এক বছরের বেশি সময় পর চেয়ারম্যান পেল ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি)।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2017, 12:50 PM
Updated : 6 July 2017, 12:50 PM

সাবেক সচিব সি কিউ কে মুসতাক আহমদকে এফআরসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২ জুলাই থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে। যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী চার বছরের জন্য মুসতাক আহমদকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে এর মধ্যে তার বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হলে তিনি এই পদ থেকে বিদায় নেবেন। 

মুসতাক আহমদ সর্বশেষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এনজিও, কোম্পানি ও সরকারি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর আর্থিক হিসাবের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল এফআরসি প্রতিষ্ঠা করে সরকার।

ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ৩ এর উপধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার এফআরসি গঠন করে।

২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ পাস হয়।

আইন অনুযায়ী ১২ সদস্যের এফআরসি গঠন হবে। এ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেবে সরকার। অন্যদের মধ্যে আইসিএবি ও আইসিএমএবি সভাপতিকে এর সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।

কাউন্সিল মূলত হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা পেশার নীতি ও নৈতিকতা সম্পর্কিত মান ইত্যাদি নির্ধারণ করবে।

এছাড়া হিসাব নিরীক্ষা সেবার গুণগত মান উন্নয়ন, তালিকাভুক্ত নিরীক্ষকদের হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা কাজের সর্বোচ্চমান নিশ্চিতকরণ, আর্থিক প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি, হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষার পেশাগত কার্যক্রমের সততা, স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আর্থিক ও অন্যান্য তথ্যের উচ্চ মানসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রস্তুতে উদ্বুদ্ধ করবে এই কাউন্সিল।

আইনে আরও বলা হয়েছে, এফআরসি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন হিসাব ও নিরীক্ষা মান অনুসরণ করে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ‘স্ট্যান্ডার্ড প্রণয়ন’ ও বাস্তবায়ন করবে। হিসাব ও নিরীক্ষা সেবার ক্ষেত্রে বিভিন্ন চার্জ এবং ফি নির্ধারণ করবে এফআরসি।

আইন অনুযায়ী নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এফআরসিতে তালিকাভুক্ত হতে হবে। অন্যথায় নিরীক্ষকরা জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট সংস্থার নিরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন না। নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এফআরসি নিরীক্ষা সনদ দেবে। নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এফআরসির সব শর্ত পরিপালন করতে হবে।

আইনে এফআরসিকে নিরীক্ষকদের অপরাধের পরিপ্রেক্ষিতে জেল ও জরিমানার ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে।

আইনের ৪৮ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি এ আইনের বা তদধীন প্রণীত বিধি প্রবিধি গাইডলাইন, স্ট্যান্ডার্ডস বা নির্দেশনায় উল্লিখিত কোনো শর্ত ভঙ্গ অথবা অসাধু পন্থা অথবা মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে নিরীক্ষক হিসেবে নিবন্ধন লাভ করেন অথবা এ আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করেন, তবে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।’

এক্ষেত্রে অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনধিক পাঁচ বছরের জন্য কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।