এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ১৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ বরাদ্দ পেয়েছে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প।
দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গতি বাড়াতে অবকাঠামো খাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে বরাদ্দের এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ৪৬তম বাজেট উপস্থাপনায় বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
এবার ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার ব্যয়ের ফর্দ উত্থাপন করা মুহিত মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রকল্প বরাদ্দ দিয়েছেন সরকারের অন্যতম আকাঙ্ক্ষিত ‘পদ্মা বহুমুখী সেতুর রেল সংযোগ’ প্রকল্পের জন্য।
নতুন বাজেটে ৭ হাজার ৬১০ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা এ প্রকল্পের জন্য চীন সরকারের সঙ্গে প্রায় ৩১০ কোটি ডলারের সমঝোতা চুক্তি হলেও এখনওচূড়ান্ত চুক্তি সম্পাদন করা সম্ভব হয়নি। শিগগির চীনের সঙ্গে এ প্রকল্পটিসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের চূড়ান্ত চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।
তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সরকারের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের ‘পদ্মা বহুমূখী সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের জন্য। এ প্রকল্পে ৫ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে এ প্রকল্পটির সর্বশেষ অগ্রগতি ৪৩ শতাংশ বলে জানানো হয়েছে।
এরপর যথাক্রমে ঢাকার যানজট নিরসনে চলমান মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য ৩ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা এবং মাতারবাড়ি (২×৬০০) মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল্ড ফায়ার পাওয়ার প্রজেক্টের জন্য দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ২২০ কোটি টাকা।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ প্রকল্পের জন্য রাখা হয়েছে ১ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা।
মহেশখালী থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত গ্যাস সঞ্চালন লাইন নির্মাণ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮০ কোটি টাকা এবং রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য মাত্র ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মেগাপ্রকল্পে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রর জন্য বরাদ্দ কম কেন জানতে চাইলে পরিকল্পা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বিভাগের সংশ্লিস্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, “সরকার এ প্রকল্প নিয়ে নানা রকম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ায় এখনও ব্যাপকভাবে কাজ করতে পারছে না। এরফলেই মূলত এ প্রকল্পটিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।”