বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেটে প্রস্তাব উত্থাপন করতে গিয়ে একথা জানান অর্থমন্ত্রী।
মুহিত বলেন, “জুয়েলারি আবহমান বাংলার একটি প্রাচীন ঐতিহ্য। বাংলাদেশে জুয়েলারি শিল্পের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ থাকলেও প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তার অভাবে এ পর্যন্ত এই শিল্পের তেমন বিকাশ হয়নি।”
আমদানির নীতিমালা না থাকায় বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে বৈধ উপায়ে দেশে সোনা আমদানি বন্ধ থাকার মধ্যে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে প্রচুর সোনা দেশে ঢুকছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া চোরাচালানে আটক সোনা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার পর নিলামে বিক্রির বিধান থাকলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে সেসব নিলাম না করায় কোনো বৈধ উৎস থেকে সোনা কেনার সুযোগ সীমিত বলেও ক্ষোভ রয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের।
তিনি বলেন, “এ সকল প্রস্তাব পর্যালোচনা করে আমরা স্থির করেছি, সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সাথে আলোচনা করে স্বর্ণ আমদানি এবং জুয়েলারি শিল্পের জন্য একটি যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
“যাতে এদেশে জুয়েলারি শিল্প বিকাশ লাভ করতে পারে এবং একইসাথে এই শিল্প বহির্বিশ্বেও রপ্তানি বাজার তৈরি করতে পারে। এই নীতিমালা প্রণয়ন এই ক্যালেন্ডার বছরেই সমাপ্ত করবো বলে আশা করছি।”