১৭% ব্যয় বাড়িয়ে ৪ লাখ কোটি টাকার বাজেট
প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 01 Jun 2017 01:38 PM BdST Updated: 01 Jun 2017 05:49 PM BdST
-
-
-
-
-
-
অধিবেশন কক্ষে ঢুকছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত
-
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী
-
উন্নয়নের ‘মহাসড়কে’ বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন সামনে রেখে নতুন অর্থবছরে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ের ফর্দ জাতীয় সংসদের সামনে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
প্রস্তাবিত বাজেটের এই ব্যয় বিদায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে ১৭ শতাংশ এবং সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২৬ শতাংশের বেশি।
বৃহস্পতিবার বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। তার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের এ মেয়াদের চতুর্থ এই বাজেট উপস্থাপনা শুরু হয় দেশের অর্থনীতিতে গত সাত বছরের সাফল্যের একটি মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে।
এবার মূল বাজেটের যে আকার মুহিত ধরেছেন, তা বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৮ শতাংশ। গতবছর প্রস্তাবিত বাজেট ছিল জিডিপির ১৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
চার লাখ কোটি টাকার এই বাজেটের মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১৩ কোটি টাকা; যার এক লাখ ৫৩ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা যাবে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি)।
আর অনুন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত অনুন্নয়ন বাজেটের চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি।
এই অনুন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে ৫৩ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধেই যাবে, যা মোট অনুন্নয়ন ব্যয়ের ২২ শতাংশ।

টানা নয়বার এবং ব্যাক্তিগত একাদশ বাজেট দেয়া মুহিত বিশাল এই ব্যয়ের প্রায় ৭২ শতাংশ অর্থ রাজস্ব খাত থেকে আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করেছেন।
বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে দুই লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা আদায় করা যাবে বলে আশা করছেন মুহিত।
গতবারের মত এবারও সবচেয়ে বেশি কর আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে, ৯১ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা। এই অংক বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩৩ শতাংশের মত বেশি।
বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাট থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা ছিল ৭২ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা। লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৬৮ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
আয়কর ও মুনাফার উপর কর থেকে ৮৫ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা রাজস্ব পাওয়ার আশা করা হয়েছে এবারের বাজেটে। বিদায়ী বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ৭১ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।
এছাড়া নতুন বাজেটে আমদানি শুল্ক থেকে ৩০ হাজার ২৩ কোটি টাকা, সম্পূরক শুল্ক থেকে ৩৮ হাজার ৪০১ কোটি টাকা, রপ্তানি শুল্ক থেকে ৪৪ কোটি টাকা, আবগারি শুল্ক থেকে ১ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা এবং অন্যান্য কর ও শুল্ক থেকে ১ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী।
বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেটে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা, আদায় সন্তোষজনক না হওয়ায় তা সংশোধন করে ২ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। সংশোধন করে তা ৩ লাখ ১৭ হাজার ১৭৪ কোটি টাকায় নামানো হয়।
অর্থমন্ত্রী সংসদের সামনে যে বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেছেন, তাতে আয় ও ব্যয়ের হিসাবে সামগ্রিক ঘাটতি থাকছে এক লাখ ১২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। এই ঘাটতি পূরণে অর্থমন্ত্রীর সহায় অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক ঋণ।
ঘাটতির এই পরিমাণ মোট জিডিপির ৫ শতাংশের মত, যা অর্থনীতির বিবেচনায় সহনীয় বলে ধরা হয়।
-
খাতা খোলার হাল ফেরেনি
-
লকডাউনে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার খোলা
-
বিডা’র অনলাইন ওএসএস পোর্টালে যুক্ত হল আরও ৫টি সেবা
-
কৃষিপণ্য ও পার্সেল পরিবহনে বুধবার থেকে বিশেষ ট্রেন
-
‘ছোটদের’ প্রণোদনা ঋণ মিলবে ৩০ জুন পর্যন্ত
-
কোভিডে বাজেটে প্রাধান্য পাবে গ্রামীণ অর্থনীতি : অর্থমন্ত্রী
-
‘কঠোর লকডাউনের’ আগে দুদিন ব্যাংক লেনদেনের সময় বাড়ল
-
মহামারীতে প্রান্তিক পরিবারের ঋণ বেড়েছে
সর্বাধিক পঠিত
- ব্যাটে-বলে সাকিবের দুই রূপ, কলকাতার অবিশ্বাস্য হার
- মামুনুলের মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার হেফাজত নেতা ইলিয়াস: র্যাব
- বায়ার্নের বিপক্ষে হেরেও সেমিতে পিএসজি
- লকডাউনে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার খোলা
- ৭ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে চেলসি
- কলকাতার হয়ে ৫০ ম্যাচ, সাকিবের জন্য বিশেষ ক্যাপ
- লকডাউনে চলাচলে ‘মুভমেন্ট পাস’ চালু
- আঙুল ভেঙে আইপিএল শেষ স্টোকসের
- করোনাভাইরাস: দেশে এক দিনে ৯৬ মৃত্যু
- ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ প্রথম দিনে ঢাকায় কড়াকড়ি