বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা জানানোর সঙ্গে তিনি বলেন, ভ্যাটের হার কমানো বেশ ‘কষ্টকর’।
২০১২ সালের ‘মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আইন’ গত বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকরের কথা থাকলেও ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে তা এক বছর পিছিয়ে দেয় সরকার।
ওই আইন অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা ১৫ শতাংশ ভ্যাটে আপত্তি জানিয়ে আসার পর অর্থমন্ত্রী নতি স্বীকার করে হার কমানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন, চলতি মাসের ২৫ কিংবা ২৬ তারিখে তা চূড়ান্ত করবেন।
এই বিষয়ে অগ্রগতির কথা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসছেন।
“কালকেই করবো, আগামীকাল সকালে এ বৈঠক হবে।”
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো ভ্যাটের হার অন্তত ৫ শতাংশ পয়েন্ট কমাতে বলছে।
ভ্যাটের হার ১ শতাংশ পয়েন্ট কমলে ৮ হাজার কোটি টাকা এবং ৩ শতাংশ পয়েন্ট কমালে ২৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব কমে যাবে- এ রকম একটি হিসাব নিয়ে আলোচনা রয়েছে।
অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো অঙ্ক উল্লেখ না করে বলেন, “এটি একটি বড় অ্যামাউন্ট।”
আগামী অর্থবছরে জন্য ৪ লাখ ২০ হাজার টাকার বাজেট দিতে যাচ্ছেন মুহিত, যার সংস্থানে রাজস্ব আদায়ের উপর নির্ভরতা বাড়াতে চাইছেন তিনি।
ভ্যাট কমালে সেই রাজস্ব কীভাবে পূরণ করা হবে- সাংবাদিকদের প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, “অত পারব-টারব না, এখন ভাবছি অন্যভাবে করব।”
ভ্যাটের হার একই হবে বলে অর্থমন্ত্রী ক’দিন আগে জানালেও একাধিক স্তরের পরিকল্পনার কথাও আলোচনায় রয়েছে।
একাধিক স্তর করা হলে সফটওয়্যারে সমস্যা হবে কি না- প্রশ্ন করা হলে প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, “না এটা পারব না, এটা আনফরচুনেটলি পারব না।
“ইভন এক পার্সেন্ট কমালেও একটু লাগবে, বাট দ্যাট ইজ প্রোভাবলি টু উইকস। এর চেয়ে বেশি কিছু যদি হয়,তাহলে আনপ্রেডিকটেবল, তাহলে আবার নতুন করে সফটওয়্যার বানাতে হবে। একলিস্ট দুই মাস লাগবে।”
সেক্ষেত্রে এক শতাংশ পয়েন্টই কমাচ্ছেন কি না- প্রশ্নে মুহিত বলেন, “আমি যে কথা বলেছি, টু দি বিসনেজ পিপল, একটি স্বস্থির অবস্থায় থাকবেন আপনারা। অন্য খানে বাড়াতে পারি। এখন দেখছি রেট কমানো খুবই কষ্টকর।”
জাইকা প্রেসিডেন্ট সিনিচি কিতাওকার সঙ্গে বৈঠকের পর ভ্যাট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন অর্থমন্ত্রী।
বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, “গত জুলাইয়ের পর জাপানি হাইঅফিসিয়ালদের এটি প্রথম সফর। উনার সঙ্গে আমার আলোচনা বেশি কিছু ছিল না। জাপান সফরে উনার সঙ্গে মিটিং হয়েছিল। জাইকা প্রেসিডেন্ট আমাদের দেশে আসলেন অনেক বছর পর।”
জঙ্গি নির্মূলে বাংলাদেশের পদক্ষেপে জাইকা প্রেসিডেন্ট প্রশংসা করেছেন বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
“হলি আর্টিজানের ঘটনায় নিহত জাপানিদের স্মরণে আগামী ১ জুলাই মাসে তারা কিছু করতে চায়, আমরাও কিছু করব। আমরা এখনও ঠিক করিনি কীভাবে করব, বাজেটের পর বলতে পারব।”