সচিবালয়ে রোববার ডিসিসিআই এবং ইন্সুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি একথা জানান।
“ভ্যাটের হার কমবে বলে জানিয়েছেন, এখনও কি সেই সিদ্ধান্তেই আছেন”- এ প্রশ্নে মুহিত বলেন, “ইয়েস ইয়েস ইয়েস অফকোর্স।…ইট উইল বি ফাইনালাইজড অন দি টুয়েন্টিফিফথ অর টুয়েন্টিসিক্সথ।”
নতুন ভ্যাটের হার নির্ধারণ করে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ভ্যাটের একটি হারই থাকবে এবং ভ্যাট আইন আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
“এত যখন আপত্তি আছে, সেটা কমানোর ব্যবস্থা হবে। আগামী ১ জুলাই থেকেই কার্যকর হবে। এটাই স্বাভাবিক কারণ বাজেট ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়।”
প্রধানমন্ত্রী ভ্যাট নিয়ে কোনো নির্দেশনা দেননি বলে জানান মুহিত। তবে তিনি বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ভ্যাট নিয়ে আপত্তির বিষয়টি জানিয়েছেন।
২০১২ সালে ভ্যাট আইন করার পর একটু একটু করে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “হঠাৎ কেন থ্রেট যে আমরা বন্ধ করে দেব?”
ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে পিছু হটে ভ্যাট আইনে সংশোধন করে হার নামিয়ে আনার কথা আগেই বলেছিলেন বলেছেন অর্থমন্ত্রী।
২০১২ সালের ‘মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আইন’ কার্যকর করার কথা ছিল গত বছরের ১ জুলাই থেকে, কিন্তু ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে তা পিছিয়ে দেয় সরকার।
তখন বিদ্যমান প্যাকেজ ভ্যাটের হার বাড়িয়ে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে বিক্রির উপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট নেওয়া হবে।
১৫ শতাংশ ভ্যাটে ব্যবসায়ীরা আপত্তি জানিয়ে এলেও অর্থমন্ত্রী তার অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানিয়ে আসছিলেন। এনিয়ে গত ৩০ এপ্রিল এক সভায় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের তুমুল তর্কাতর্কিও হয়।