‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুমোদন একনেকে

তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞানের মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়নে শুরু হওয়া ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2017, 12:33 PM
Updated : 16 May 2017, 12:33 PM

‘তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন’ শিরোনামে প্রকল্পটির দ্বিতীয় পর্যায়ের মাধ্যমে নারীদের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান পৌঁছে দিতে সারা দেশের ৪৯০টি উপজেলায় তথ্য প্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

প্রায় ৫৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পটি আগামী ২০২২ সালে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, সভায় আটটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ২ হাজার ৭২৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

মোট ব্যয়ের মধ্যে ১ হাজার ৯২৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে ৭৯৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

মুস্তফা কামাল বলেন, “এর আগে ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ‘তথ্য আপা: প্রথম পর্যায়’ বাস্তবায়িত হয়েছিল। ওই পর্যায়ে ১৩টি উপজেলার ১৩টি তথ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে এখন দরিদ্র গ্রামীণ নারীদের তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। সেই সফলতায় এবার দ্বিতীয় পর্যায় অনুমোদন দেওয়া হল।

“তথ্য প্রযুক্তিতে দেশের এক কোটি নারীর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এ প্রকল্পের মাধ্যমে অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।”

সভায় অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘কনভারশন অব ১৫০ মেগাওয়াট সিলেট গ্যাস টারবাইন পাওয়ার প্ল্যান্ট টু ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট’ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৬ কোটি টাকা।

‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (চট্টগ্রাম অঞ্চল) প্রকল্প,’ যার এর ব্যয় ৪৩৬ কোটি টাকা।

‘দেশের পার্বত্য অঞ্চলের শ্রমিকদের কল্যাণ সুবিধাদি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প’; এর ব্যয় ৬৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

‘নেত্রকোনা–বিশিউড়া-ঈশ্বরগঞ্জ সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প; এর ব্যয় ২৬১ কোটি টাকা।

‘লাঙ্গলবন্দ-কাইকারটেক-নবীগঞ্জ জেলা মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ হতে মিনার বাড়ি পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ’ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১২১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

‘বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইস্টিটিউট (বারটান) এর অবকাঠামো নির্মাণ ও কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প; এতে ব্যয় হবে ৩৩২ কোটি ১২ লাখ টাকা।

‘কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ (তৃতীয় পর্যায়)’ প্রকল্প। এর ব্যয় ১৬৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা।