মঙ্গলবার রাজধানীর দিলকুশায় বিডার প্রধান কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত একটি বিধিমালা চূড়ান্ত করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ মার্চ নীতিমালাটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার মতামত চেয়ে চিঠি দেয় বিডা। সভায় ওই চিঠির উত্তরে যেসব পরামর্শ এসেছে তা নিয়ে পর্যালোচনা হয়।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইনের ধারা ২৩(১) অনুযায়ী ‘সরকারি শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অব্যবহৃত জমি বা স্থাপনা বিনিয়োগ ও শিল্পায়নের জন্য ব্যবহার সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা-২০১৬’ এর আওতায় চলমান ও বন্ধ হয়ে যাওয়া মিলে দেশব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শতাধিক শিল্প কারখানা ঘিরে বেশকিছু জমি এর মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেন, বিডার প্রথম পরিচালনা পর্ষদে সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক পড়ে থাকা অলস জমি নতুন শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজে লাগাতে একটি খসড়া বিধিমালা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে এই বিধিমালা চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
আমিনুল বলেন, “এতোদিন আইনের বিধান ছিল না। এখন বিধান হয়ে গেলে এসব অলস ও অব্যবহৃত ভূমির সঠিক ব্যবহার হবে।”
বিডার পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিলুপ্ত প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের অধীনে থাকা ৩৬৪ দশমিক ২২ একর আয়তনের ১৫টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বিডার অধীনে এসেছে। এর মধ্যে মাত্র দুটি চালু আছে।এসব প্রতিষ্ঠানের মোট অব্যবহৃত একশ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিডার নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন, পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মতিউর রহমান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, সেতু বিভাগের উপসচিব এসএম লাভলুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. কবিরুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সুরাইয়া পারভীন শেলী ও বেজার ব্যবস্থাপক সালেহ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।