রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্টের ফরেন উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আবদুল মান্নানের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি যেসব দূতাবাস ভিসা প্রক্রিয়াকরণের কাজ করে না তাদের মনোনীত এজেন্টদের ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ায় নতুন এই সার্কুলার জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মান্নান।
“তবে যারা ভিসা প্রসেসিং আউট সোর্সিং করতো, তাদের কিছু সমস্যা হচ্ছিল। এ সমস্যা সমাধানে তারা আমাদেরকে অনুরোধ করেন। তাদের সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে সমস্যা নিরসনে এই সার্কুলার জারি করা হয়েছে। ”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন বিধিমালা অনুসারে অথোরাইজড ডিলারের মাধ্যমে টাকায় সংগৃহিত কনসুলার ফি বিদেশে পাঠানোর অনুমতি বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি দূতাবাসগুলোর রয়েছে।
“অনেকক্ষেত্রে এ সব দূতাবাস তাদের মনোনীত আবাসিক এজেন্টের মাধ্যমে এই ফি সংগ্রহ করে। এই পদ্ধতিতে সংগৃহিত ফি দূতাবাস কর্তৃক মনোনীত বিদেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বা তাদের হোম অফিসে পাঠানো যেতে পারে।”
এক্ষেত্রে এসব অথোরাইজড ডিলারদেরকে বেশ কিছু নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছে:
১. দূতাবাস কর্তৃক নির্ধারিত হারে এই ভিসা ফি সংগ্রহ করতে হবে।
২. সংগৃহিত অর্থের ভিসার আবেদনকারীর তালিকাভিত্তিক বিবরণীসহ দূতাবাস বা হোম অফিসের চালান সংরক্ষণ করতে হবে।
৩. প্রয়োগযোগ্য কর কেটে রাখার বিষয়টি অথোরাইজড ডিলারকে নিশ্চিত করতে হবে।
পাশাপাশি অভিবাসন সংক্রান্ত ফিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মনোনীত এজেন্টের কাছে পাঠানো যাবে। এক্ষেত্রে অথোরাইজড ডিলারকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।