ঢাকায় ৫ হাজার সিসি ক‌্যামেরা বসাতে একনেকের সায়

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সড়কগুলোতে ৫ হাজার সিসি ক‌্যামেরা বসানো হচ্ছে; তার সঙ্গে লাগানো হবে ৪০ হাজার নতুন এলইডি বাতি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Feb 2017, 11:02 AM
Updated : 14 Feb 2017, 11:07 AM

এজন্য ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এলইডি সড়কবাতি, সিসিটিভি ক্যামেরা সিসিটিভি কন্ট্রোল সেন্টার সরবরাহ ও স্থাপন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকার।

প্রকল্পটিতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে প্রায় ৩৫৪ কোটি টাকা দেওয়া হবে, বাকি ৮৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকার জোগান দেবে সিটি করপোরেশন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

এটি ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প এদিনের বৈঠকে অনুমোদন পায় বলে সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মু্স্তফা কামাল জানান।

এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৬৮৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২ হাজার ৬৪১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৮৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকার সংস্থান হবে; বৈদেশিক সহায়তা থেকে আসবে ৯৫৪ কোটি ৮ লাখ টাকা।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকার সব এলাকায় নতুন করে প্রায় ৪০ হাজার এলইডি সড়কবাতি স্থাপন করা হবে।

“বিদ্যমান সড়ক বাতিগুলো অনেক পুরনো হওয়ায় রাতে পথচারীরা অনেক সময় সমস্যায় পড়েন। এখন পথচারীদের নির্বিঘ্ন চলাচল এবং পথচারীদের সুবিধার্থে সর্বাধুনিক এলইডি সড়ক বাতি লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

এ প্রকল্পটির মাধ্যমে ঢাকা উত্তর সিটির ইন্টার সেকশনসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সিসি ক্যামেরা এবং কেন্দ্রীয় সিসিটিভি কন্ট্রোল সেন্টার স্থাপন করা হবে।

“এ কার্যক্রমের ফলে ঢাকা উত্তরের জনগণ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেখানে মোবাইল টিম থাকবে। ফলে ক্রাইম ও যানজট কমে আসবে,” বলেন মুস্তফা কামাল।

সিসি ক‌্যামেরা

বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ আঞ্চলিক আবহাওয়া ও জলবায়ু সেবা প্রকল্প। এর ব্যয় প্রায় ৯৮০ কোটি টাকা। আলীকদম-জালানীপাড়া-করুকপাতা-পোয়ামুহুরী সড়ক নির্মাণ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭৪ কোটি ১ লাখ টাকা। গোপালগঞ্জ এবং বাগেরহাট পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নতকরণ প্রকল্প। এর ব্যয় ১৬৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। কোর্ট হতে রাজশাহী বাইপাস সড়ক পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

বৃহত্তর নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলা পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নের সংশোধিত প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪০ কোটি ১৩ লাখ টাকা। উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। ঢাকা কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৬ কোটি টাকা। সাভার সেনানিবাসে মিলিটারি পুলিশ সেন্টার ও স্কুল নির্মাণ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যে, এখন থেকে যেখানে রেল ক্রসিং থাকবে সেখানে ওভারপাস নির্মাণ করতে হবে। এছাড়া সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে রাস্তা তৈরির মাধ্যমে সীমান্ত চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।”