সেই সঙ্গে মোবাইল ফাইন্যান্সসিয়াল সেবাদানকারী (এমএফএস) কোনো প্রতিষ্ঠানে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধের কথাও মনে করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সার্কুলারে।
বুধবার এই সার্কুলার জারির পর মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে তা পাঠানো হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
>> কোনো গ্রাহক তার অ্যাকাউন্টে দিনে দুই বারে ১৫ হাজার টাকার বেশি ক্যাশ ইন বা জমা করতে পারবেন না। মাসে ২০ বারে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা ক্যাশ ইন করা যাবে।
>> দিনে দুই বারে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা তোলা বা ক্যাশ আউট করা যাবে। মাসে ১০ বারে ৫০ হাজার টাকার বেশি উত্তোলন করা যাবে না।
>> একটি মোবাইল হিসাবে ক্যাশ-ইন হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই টাকা থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকার বেশি ক্যাশ-আউট করা যাবে না।
এতোদিন একজন গ্রাহক দিনে ৫ বার এবং মাসে ২০ বার নগদ অর্থ জমা করতে পারতেন। আর দৈনিক ৩ বার ও মাসে ১০ বার টাকা উত্তোলন করতে পারতেন।
প্রতিবারে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা জমা ও উত্তোলনের সীমা নির্ধারিত ছিল এতোদিন। মাসে জমা ও উত্তোলনের সর্বোচ্চ সীমা ছিল এক লাখ ৫০ হাজার টাকা।
>> ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে টাকা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে আগের মতই প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা এবং মাসে ২৫ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক লীলা রশিদ স্বাক্ষরিত সার্কুলারে বলা হয়েছে, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস একটি দ্রুত বিকাশমান সেবা; যা অতি অল্প সময়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশেষত: নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
“কিন্তু কতিপয় অসাধু ব্যক্তি এ সেবাটির অপব্যবহার করছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে যা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর।”
মোবাইল ফিনান্সিয়াল সেবার অপব্যবহার রোধ করে শৃঙ্খলা আনতে এর আগে ২০১৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর ও ২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বর দুটি সার্কুলার জারি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেগুলো সংশোধন করেই নতুন এই সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবারের সার্কুলারে ২০১৪ সালের নির্দেশনা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি কোনো এমএফএস প্রোভাইডারের সঙ্গে একাধিক মোবাইল হিসাব চালাতে পারবেন না।
একই জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ড বা অন্য কোনেো পরিচয়পত্রের বিপরীতে কোনো গ্রাহকের এক এমএফএসে একাধিক হিসাব থাকলে আলোচনার মাধ্যমে তিনি ঠিক করবেন- কোন হিসাবটি তিনি চালু রাখবেন। তার অন্য হিসাবগুলো বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কোনো ক্ষেত্রে গ্রাহকের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে আসা কঠিন হয়ে গেলে যে হিসাবে সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে তা চালু রেখে অন্য হিসাবগুলো বন্ধ করতে হবে।
কোনো হিসাব বন্ধ করার সময় ওই গ্রাহকের জমা থাকা সব টাকা পরিশোধ বা হস্তান্তরের ব্যবস্থা নিতে হবে।