পার্বত্যাঞ্চলে বিদ্যুতের উন্নয়নসহ ৯ প্রকল্প অনুমোদন

পার্বত্য তিন জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ প্রায় ৮ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নয়টি প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Jan 2017, 11:15 AM
Updated : 10 Jan 2017, 12:05 PM

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় প্রকল্পগুলো অনুমোদিত হয়।

পরে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, নয় প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৩২৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা যোগান দেয়া হবে। বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৫০ কোটি ৯ লাখ টাকা এবং বিদেশি সহায়তা থেকে একহাজার ৪৯৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা পাওয়া যাবে।

একনেক সভায় যে সব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন ও স্যানিটেশন (১ হাজার ৮৯০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা), গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (৪৫৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা), বাগেরহাট জেলায় ৮৩টি নদী, খাল পুনঃখনন এবং মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্য বৃদ্ধি (৭০৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা)।

খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি (২য় পর্যায়) প্রকল্প (৩৩৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা), বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ এবং উপকেন্দ্রসমূহের উন্নয়ন (১৬০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা), পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ (৩ হাজার ৯২৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা), তথ্য ভবন নির্মাণ (৯৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা)।

এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন নতুন সংযুক্ত শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল ও সারুলিয়া এলাকার সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩৪ কোটি ২ লাখ টাকা।

নদী খননের বালু দিয়ে ইটের বিকল্প তৈরির পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পমন্ত্রী বলেন, নদী ড্রেজিংয়ের সময় উত্তোলিত বালু দিয়ে ইটের বিকল্প কিছু তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এমনটা করা গেলে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা করা ও অর্থনৈতিক দিক থেকে লাভবান হওয়া যাবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, নদী ড্রেজিংয়ের পর যে বালু উত্তোলন করা হয়, সেটি দিয়ে ইটের বিকল্প তৈরি করতে হবে অথবা হলো ব্লক তৈরি করতে হবে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা করা যাবে এবং অর্থনৈতিক দিক থেকেও সাশ্রয়ী হবে।”

পাইলট প্রকল্পের আওতায় শিগগিরই এই কাজ শুরু করা হবে বলে জানান মুস্তফা কামাল।

মঙ্গলবারের একনেক সভায় বাগেরহাট জেলায় ৮৩টি নদী, খাল পুনঃখনন এবং মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্য বৃদ্ধি প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান।

ছয় মাসে ২ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার ১৩১ প্রকল্প অনুমোদন

সংবাদ সম্মেলনে মুস্তফা কামাল জানান, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথমার্ধে অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ১৬টি একনেক সভায় ২ লাখ ৬৩ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকার ১৩১টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

গত অর্থবছরের একই সময়ে ১৭টি সভায় ১ লাখ ২৬ হাজার ১৩৩ কোটি টাকার ১২৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।