ফিলিপিন্স চাইলেও দেব না: মুহিত

রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন ফিলিপিন্সকে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2016, 12:27 PM
Updated : 4 Dec 2016, 12:31 PM

তিনি বলেছেন, “আমি এখনও জানি না তারা চেয়েছে কি না…তবে তারা চাইলেও দেব না। এটা দেওয়ার না। এটা আমাদের ইন্টারনাল রিপোর্ট।”

বাংলাদেশ ব‌্যাংকের রিজার্ভ চুরি নিয়ে সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ফিলিপিন্স সরকার চায় বলে দেশটির অর্থমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে রোববার জানায় রয়টার্স।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পদক্ষেপ কী হবে- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে নেতিবাচক জবাব দেন মুহিত। ‘অর্থ উদ্ধারের স্বার্থে’ ওই প্রতিবেদনটি এখনও প্রকাশ করেননি তিনি।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত (ফাইল ছবি)

সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার আগে অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি ফিলিপিন্স সফর করে আসা আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে বৈঠক করেন।

রয়টার্স জানায়, রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থ দ্রুত উদ্ধারে সহায়তার জন্য ব্যাংক খাতে হ্যাকিংয়ের সবচেয়ে বড় এই ঘটনায় বাংলাদেশের তদন্তের প্রতিবেদন চাইছে ফিলিপিন্স সরকার।

গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব‌্যাংক অব নিউ ইয়র্কে রাখা বাংলাদেশের রিজার্ভের আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সের রিজল ব‌্যাংকের সন্দেহজনক কয়েকটি হিসাবে পাঠানো হয়।

ওই অর্থ পরে জুয়ার আসরে গিয়ে হাপিস হয়ে যায়। পরে এক ক‌্যাসিনো মালিকের ফেরত দেওয়া এক-পঞ্চমাংশ অর্থ (দেড় কোটি ডলার) উদ্ধারের পর বাংলাদেশ ফেরত পায়।

বাকি অর্থ উদ্ধারের জন‌্য সম্প্রতি আইনমন্ত্রী নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলটি ফিলিপিন্সে গিয়ে দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া রিজার্ভের আরও ২ কোটি ৯০ লাখ (২৯ মিলিয়ন) ডলার ফিলিপিন্সের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জব্দ করা হয়েছে। আলোচনা সাপেক্ষে এ অর্থ ফেরত আনা হবে। চুরি যাওয়া বাকি অর্থও ক্রমান্বয়ে ফেরত আনা হবে।

রিজল ব‌্যাংকের এই শাখায় গিয়েছিল বাংলাদেশের অর্থ

দায় অস্বীকার এবং অর্থ ফেরত দিতে রিজল ব‌্যাংকের অস্বীকৃতি প্রকাশে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “চুরির টাকা কীভাবে একটা ব্যাংকের সম্পদ হতে পারে। ফিলিপিন্সের রিজল ব্যাংককে এই টাকা ফেরত দিতেই হবে।

“এটা আমাদের প্রাপ্য। চুরি হওয়া পুরো টাকা ফেরত আনতে আমরা আমাদের সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।”

ফিলিপিন্সের সুপ্রিম কোর্ট ওই ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার বাংলাদেশকে দেওয়ার আদেশ দেবে বলে আশা করছেন মুহিত।

এই চুরির দায় রিজল ব্যাংককে দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।

“বাকি যেটা রিজল ব্যাংক নিয়েছে, সেটার জন্য তারা লায়াবল এবং দে শ্যাল পারসু। সুতরাং রিজলের কথায় আমরা কোনো গুরুত্ব দিচ্ছি না। আমার মনে হয় আমাদের পজিশন কারেক্ট। সেজন্য রিজাল ব্যাংককে সেটা মানতেই হবে।”

রিজল ব্যাংক টাকা না দিলে বাংলাদেশের কী করণীয়- এ প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের কিছু করণীয় নাই। একটু পারসু করা, উইথ দি গভর্নমেন্ট অব ফিলিপিন্স। তারা আমাদের সঙ্গেই আছেন।”