পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদ আফসর এইচ উদ্দিন বৃহস্পতিবার এসব ব্যাংকের নির্বাহীদের সঙ্গে চুক্তিপত্রে সই করেন।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কোনো উদ্যোক্তা নির্দিষ্ট কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব করলে তা ব্যাংক অর্থায়নের যোগ্য কি না, তা যাচাই বাচাই এবং ওই উদ্যোক্তাকে ঋণ সহযোগিতা দেওয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রধান অতিথি ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান ও এবিবির চেয়ারম্যান আনিস এ খানও উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা শত চেষ্টা সত্ত্বেও বিনিয়োগ তেমন বাড়াতে পারিনি। সরকারি বিনিয়োগ বেড়েছে, এটাই দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কারণ। কিন্তু ব্যক্তি মালিকানা খাতে আমরা সেই বিনিয়োগ বাড়াতে পারিনি।
“যে বিনিয়োগ নিয়ে আমরা চিন্তা করি, সেই বিনিয়োগের দ্বারটা আজকে উন্মোচিত হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে আমার দুঃখের অবসান হতে চলেছে।”
এই চুক্তির ফলে পিপিপিতে বিনিয়োগের ‘পালে হাওরের বাতাস’ লাগবে বলেও মন্তব্য করেন মুহিত।
মুখ্যসচিব আজাদ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভূমি নিয়ে সমস্যার দিকটি তুলে ধরে বলেন, জমি অধিগ্রহণে জমির দাম বাড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি, আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে এ আইনটি আমাদের হাতে চলে আসবে। তখন বিনিয়োগের আরও সুবিধাজনক অবস্থা তৈরি হবে।”
বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন কর্তৃপক্ষ (বেজা) ইতোমধ্যেই ৭৭টি জোনের জন্য ৫০ থেকে ৭০ হাজার একর জমি চিহ্নিত করেছে বলে জানান তিনি।
“এর মধ্যে ২০ থেকে ২৫ হাজার একর জমি আমাদের দখলে চলে এসেছে। তাতে করে জমি সংক্রান্ত জটিলতা আর থাকবে না।”
পিপিপিতে চুক্তিবদ্ধ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- এবি ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ অবকাঠামো অর্থায়ন তহবিল লিমিটেড (বিআইএফএফএল), ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল লিমিটেড, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, গ্রীণ ডেল্টা ক্যাপিটাল লিমিটেড, আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড, ইডকল, আইআইডিএফসি, মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড, মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, রিভারস্টোন ক্যাপিটাল লিমিটেড, দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড এবং ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড।