প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে ‘মেঘনা ইকনোমিক জোন’ বেসরকারি খাতে সর্বপ্রথম ছাড়পত্র অর্জন করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বেজা।
মঙ্গলবার কারওয়ান বাজারে বেজার প্রধান কার্যালয়ে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামালের হাতে লাইসেন্স তুলে দেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।
এ সময় বেজা চেয়ারম্যান বলেন, “প্রাক যোগ্যতা সনদের সব শর্ত পূরণ করায় সবার আগে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লাইসেন্স পাচ্ছে মেঘনা গ্রুপ। বেজার একশ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় এটি একটি মাইলফলক।”
১৫ বছরে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার মাধ্যমে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে কাজ করছে বেজা।
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, বিভিন্ন প্রতিকূলতা পেরিয়ে মেঘনা ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত সনদ পাওয়ার জন্য বেজা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
“ইতোমধ্যে মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন নামের আরেকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রি-কোয়ালিফিকেশন্স লাইসেন্স পেয়েছি। দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা গেলে ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।”
ইতোমধ্যেই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, মাটি ভরাটসহ অন্যান্য উন্নয়নকাজ শেষ হয়েছে।
মেঘনা প্রুপের পক্ষ থেকে বেজাকে জানানো হয়, চলতি বছরের শেষের দিকে ৬শ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মেঘনা পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস, দুইশ কোটি টাকা ব্যয়ে মেঘনা এডিবল অয়েল মিল চালুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
এছাড়া এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন একটি পাওয়ার প্লান্ট, নিজস্ব পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, তিতাস থেকে সরবরাহকরা গ্যাসসহ আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধা রাখা হয়েছে।
অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় পানি শোধনাগার প্লান্ট, নোংরা পানি অপসারণ, তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার প্লান্ট, কঠিন বর্জ্য অপসারণ প্ল্যান্ট রয়েছে মেঘনার ইকোনমিক জোনে।
সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যাদের মধ্যেো বেজার নির্বাহী সদস্য এম এমদাদুল হক, মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ, হরিপ্রসাদ পাল উপস্থিত ছিলেন।