এবার প্রথমবারের মতো বাজেটে এ ধরনের বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বজেট প্রস্তাবে ওই বরাদ্দ রাখার কারণ ব্যাখ্যা করেন।
তিনি বিলেন, “আমাদের বিদেশি সাহায্য ব্যবহারের হার বেশ কম। এ প্রেক্ষাপটে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন পর্যায়ে কিছু কাঠামোগত পরিবর্তন আনার কাজ শুরু করেছি। যেমন প্রকল্প অনুমোদনের পূর্বেই সংশ্লিষ্ট প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পন্ন করার নীতি ও পদ্ধতি প্রণয়ন।
“এসব প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পাদনের লক্ষ্যে বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।”
সরকার প্রকল্প বাস্তবায়ন নির্দেশিকা প্রণয়নের কথাও ভাবছে জানিয়ে মুহিত বলেন, “আমরা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করব।”
প্রতিটি প্রকল্পের জন্য একজন স্বতন্ত্র প্রকল্প পরিচালক এবং একজন কর্মকর্তার একাধিক প্রকল্পের পরিচালক পদে না রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “তার নিয়োগ প্রকল্প প্রণয়নকালেই করা হবে। এজন্য অনেক আগেই প্রকল্প পরিচালক পুল গঠনের যে কথা বলা হয়েছিল, তা আগামী অর্থবছরেই বাস্তবায়ন করা হবে।”
মূলধন মজুদ বাড়াতে প্রতিবছরই বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রয়োজন হয়- উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ এ মজুদ বাড়াতে ভূমিকা রাখে। বর্তমানে জিডিপির অনুপাতে মোট বিনিয়োগ ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ। কিন্তু, মধ্য মেয়াদের কাঙ্ক্ষিত ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির জন্য এ বিনিয়োগ যথেষ্ট নয়।
“আমরা প্রতিবছরই সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা করেছি, যদিও সক্ষমতার ঘাটতির কারণে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি আশানুরূপ বাস্তবায়ন করতে পারিনি,” বলেন তিনি।