বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের মোট জনসংখ্যায় কর্মক্ষম জনশক্তির সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে, যা ২০৪৩ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
“এই জনমিতিক সুবিধা পেতে নতুনভাবে যুক্ত হওয়া শ্রমিকদের পাশাপাশি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিক ও ব্যবস্থাপকদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করছি।”
নতুন যুক্ত হওয়াদের প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি চাহিদাভিত্তিক বৃত্তিমূলক শিক্ষার কার্যক্রম বাস্তবায়নের কথাও বলেন অর্থমন্ত্রী।
“আমাদের দেশের শিল্প ব্যবস্থাপনায় মধ্যম ও উচ্চ পর্যায়ের দক্ষ জনবলের অভাব থাকায় বিদেশি জনবল নিয়োগ করতে হচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দেশিয় ব্যবস্থাপকদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিচ্ছি।
“পাশাপাশি এই খাতে ভবিষ্যত নেতৃত্ব গড়তে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের বাজারের চাহিদা মোতাবেক প্রশিক্ষণ প্রদানের কথাও ভাবছি। এসব বিবেচনায় সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে পরীক্ষামূলকভাবে ইনকিউবেটর এবং এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার গঠনের বিষয়টি আমাদের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।”
জাহাজ নির্মাণশিল্পের শ্রমিকদের জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণের মত বিভিন্ন শিল্পের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার কথাও জানান অর্থমন্ত্রী।
সব উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, বিদ্যমান প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আধুনিকায়ন, কারিকুলাম উন্নয়ন ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ, ট্রেডভিত্তিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ এবং আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির মতো পদক্ষেপের কথাও বলা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।
যেসব দেশে অধিক সংখ্যক অদক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিক রয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের দূতাবাস, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার সহায়তায় দক্ষ কর্মী গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান মন্ত্রী।
এ বছরই ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি প্রতিষ্ঠার কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী নতুন অর্থবছরের শুরুতেই ‘ন্যাশনাল হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফান্ড’ শীর্ষক তহবিল কার্যকরের আশা করেন।