শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ ১৫.৫৩%

প্রায় সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে সব চেয়ে বেশি বরাদ্দ প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 June 2016, 02:10 PM
Updated : 2 June 2016, 02:10 PM

জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য উপস্থাপিত ৩ কোটি ৪০ লাখ ৬০৫ কোটি টাকার বাজেট শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে মোট বাজেটের ১৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।

এই খাতে ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫২ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা, যা চলতি বছরের জন্য ছিল ৩৪ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা।

খাতওয়ারি ব্যয় বরাদ্দে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হিসেবে জনপ্রশাসনে ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।

এর পর যথাক্রমে সরকারের নেওয়া ঋণের সুদ বাবদ ১১ দশমিক ৭ শতাংশ এবং পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ১১ শতাংশ বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের টাকার অংকে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ বাড়লেও মোট বাজেটের আকারে বরাদ্দ আগের অর্থবছরের তুলনায় কমে যায়। এনিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সংসদে সমালোচনা করেন।

এছাড়া বেশ কয়েক বছর ধরেই শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে শিক্ষাবিদসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ছাত্র ও শিক্ষক সংগঠনগুলো দাবি জানিয়ে আসছিল। বিশেষ করে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষা খাতে বাজেটের ২৫ শতাংশ বরাদ্দ চেয়ে আসছে।

এবার প্রাক-বাজেট আলোচনার সময়ই অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, বাজেটে শিক্ষা খাত প্রাধান্য পাবে।

আনুপাতিক হারে গতবারের চেয়ে ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়ে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫২ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা।

এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ২৬ হাজার ৮৪৮ কোটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ২২ হাজার ১৬২ কোটি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জন্য ২ হাজার ৬৯ কোটি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জন্য একহাজার ৮৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে মুহিত।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে চলতি অর্থবছরেও বিনামূল্যে বই বিতরণ, উপবৃত্তি, সৃজনশীল মেধা অন্বেষণসহ নানা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

বিদ্যালয়বিহীন এক হাজার ১২৫টি গ্রামে নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে কারিকুলাম প্রণয়ন, বই মুদ্রণ ও শিক্ষা নিয়োগের কাজ সম্পন্ন করেছি।”

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন পুনঃনির্মাণ, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া ছাড়াও শিক্ষক নিয়োগের বিষয়েও বাজেট বক্তৃতায় তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী।

বেসরকারি শিক্ষকদের কল্যাণে থোক বরাদ্দ

বেসরকারি শিক্ষকদের কল্যাণে ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবসর সুবিধা বোর্ডের’ অনুকূলে ৫০০ কোটি টাকার ‘এনডাওমেন্ট ফান্ড’ এবং ১০০ কোটি টাকা এককালীন অনুদানের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

এছাড়া বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের কল্যাণ ট্রাস্টের অনুকূলেও এককালীন ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন মুহিত।