মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “তবে আজকে (মঙ্গলবার) পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আমরা কোনো মামলা করার কথা ভাবছি না।
“ফিলিপিন্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের টিম সেখানে কাজ করছে। আমরা তাদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত অবহিত হচ্ছি, সে ভিত্তিতে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।”
গত ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাক করে সুইফট মেসেজের মাধ্যমে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের সঞ্চিত অর্থ থেকে দশ কোটি ডলার ফিলিপিন্স ও শ্রীলঙ্কায় পাঠাতে বলা হয়।
শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার আটকানো গেলেও ফিলিপিন্সে যাওয়া ৮ কোটি ডলারের অধিকাংশই জুয়ার আখড়া হয়ে দেশটি থেকে পাচার হয়ে গেছে বলে গণমাধ্যমের খবর।
এ ঘটনায় ফিলিপিন্সের মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ কর্তৃপক্ষ (এএমএলসি) ও দেশটির সিনেট তদন্ত কমিটি অনুসন্ধান শুরুর পর রিজার্ভ চুরির অর্থ থেকে পাওয়া প্রায় ৯৮ লাখ ডলার ইতোমধ্যে এএমএলসি’র কাছে জমা দিয়েছেন ক্যাসিনোর জাংকেট অপারেটর কিম অং।
ফিলিপিন্স কর্তৃপক্ষের তোড়জোড়ে রিজার্ভের এই অর্থ উদ্ধার হলেও পুরো পাওয়া যাবে কিনা- সিনেট কমিটির শুনানিতে যেসব তথ্য বের হয়ে এসেছে তাতে সেটি এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
শুনানির দিনগুলোতে ফিলিপিন্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেস ও বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি দল উপস্থিত থাকছেন নিয়মিত।
এদিকে উদ্ধার করা অর্থ ফিলিপিন্স কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে ফেরত পাঠাবে বললেও এজন্য কিছু আইনি প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হবে ইতোমধ্যে সিনেট শুনানিতে জানিয়েছেন এএমএলসির প্রধান জুলিয়া বাকে আবাদ।
শুভঙ্কর সাহা বলেন, “উদ্ভার করা অর্থ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে ফিলিপিন্সের আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে হতেই পারে, যেহেতু সেখানে একটি অপরাধ হয়েছে।
“ফিলিপিন্স ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের সঙ্গে আমাদের টিমের কর্মকর্তরা কথা বলেছেন, পারস্পরিক আইনি সহায়তার মাধ্যমে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”