রিজার্ভ চুরির ফরেনসিক তদন্তের সময় বাড়ল

রিজার্ভের অর্থ চুরি নিয়ে চলমান ফরেনসিক তদন্তের সময় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2016, 07:09 PM
Updated : 13 April 2016, 07:09 PM

বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এজন্য নতুন করে ৭৩০ কর্মঘণ্টা সময় অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানান ব্যাংকটির মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা।

সাংবাদিকদের তিনি জানান, বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক আইটি বিশেষজ্ঞ রাকেশ আস্তানার নেতৃত্বে এ তদন্ত পরিচালিত হচ্ছে। রিজার্ভ চুরি ধরা পড়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি দুর্বলতা বের করতে ১২০ কর্মঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছিল।

শুভঙ্কর সাহা বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি সিকিউরিটি নিশ্ছিদ্র করার জন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল তার বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি নিয়ে বোর্ড সভায় আলোচনা হয়েছে।

“সাইবার অ্যাটাকের বিষয়ে ফরেনসিক যে ইনভেস্টিগেশন হচ্ছে তার অগ্রগতি কতটুকু তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ কাজের বর্ধিত সময়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”

সময় কতটুকু বাড়ানো হয়েছে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “নতুন করে ৭৩০ ঘণ্টা সময় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের নামে সুইফট (সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন) মেসেজিং সিস্টেমে ‘ভুয়া’ বার্তা পাঠিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ১০ কোটি ডলার ফিলিপিন্স ও শ্রীলঙ্কার দুটি ব্যাংকে সরানো হয়।

বানান ভুলের কারণে শ্রীলঙ্কার ২ কোটি ডলার আটকানো গেলেও ফিলিপিন্সে যাওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলারের অধিকাংশ ক্যাসিনোয় যাওয়ার পর দেশটি থেকে পাচার হয়ে যায় বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।

বিশ্বজুড়ে আলোচিত এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে ফিলিপিন্সের সিনেট কমিটি।

এরই মধ্যে এক-পঞ্চমাংশ অর্থ উদ্ধার হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সরকারকে জানিয়েছেন। তবে বাকি অর্থ উদ্ধারে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

তা উদ্ধারে সাত সদস্যের আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার।

বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে পর্ষদ সদস্য রুশিদান ইসলাম জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে ‘সর্বোচ্চ পদক্ষেপ’ নেওয়া হচ্ছে।

“সাইবার নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে যা করা দরকার তার জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে,” বলেন তিনি।

রিজার্ভ থেকে অর্থ খোয়া যাওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের যে দুর্বলতা ফুটে উঠেছে- তা নিরসনে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান রুশিদান ইসলাম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর পদে ফজলে কবিরের যোগদানের পর এটি দ্বিতীয় বোর্ড সভা। প্রথম সভাটি হয় এক সপ্তাহ আগে।

গভর্নরের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ, এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা রাজী হাসান উপস্থিত ছিলেন।