ফার্নেস অয়েলের দাম কমেছে লিটারে ১৮ টাকা

জ্বালানি তেলের দাম কমাতে সব মহলের দাবির মধ্যে ফার্নেস অয়েলের দাম কমিয়েছে সরকার।

মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত এই জ্বালানি তেলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪২ টাকা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ফার্সেন অয়েলের দাম ভোক্তা পর্যায়ে লিটারপ্রতি ১৮ টাকা কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

নতুন এই দর রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হবে বলে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

ফার্নেস অয়েলের দাম কমালেও ডিজেল, পেট্রোল, অকটেনসহ অন্য সব জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়ে কোনো ঘোষণা আসেনি।

বিশ্ব বাজারে গত দেড় বছর ধরে তেলের দরপতন চলার কারণে দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানির দাম কমানোর দাবি ওঠে।  

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জ্বালানি তেলের দাম কমানোর পক্ষে মত দিলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা নাকচ করে দেন।

ভর্তুকির লোকসান থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে তুলতে দাম অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

বিদ্যুৎ কেন্দ্র, যার প্রধান জ্বালানি ফার্নেস অয়েল

তবে সোমবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সর্বশেষ ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মূল্য সমন্বয়ের সময় বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। সেই হারে বর্তমানে প্রতি লিটার অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রোল ৯৬ টাকা, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তখন প্রতি লিটার ফার্নেস অয়েলের দাম ৬০ টাকা স্থির হয়েছিল, যা বৃহস্পতিবার কমানো হল।  

বাংলাদেশে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও যানবাহন বৃদ্ধির কারণে গত কয়েক বছর ধরে ৫০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি জ্বালানি তেলের চাহিদা তৈরি হয়েছে।