নতুন গভর্নর ফজলে কবির

সাবেক অর্থ সচিব ফজলে কবিরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর করা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 March 2016, 07:40 AM
Updated : 15 March 2016, 05:29 PM

হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েক কোটি ডলার লোপাটের প্রেক্ষাপটে আতিউর রহমান সরে দাঁড়ানোর ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে নতুন গভর্নরের নাম জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “গভর্নর তো হয়ে গেছে। সাবেক অর্থসচিব ফজলে কবিরকে গভর্নর করা হয়েছে।”

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ফজলে কবির বর্তমানে নিউ ইয়র্কে আছেন।

কবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আজকেই অ্যানাউন্স হবে।”

১৮ মার্চ ফজলে কবির দেশে ফিরবেন বলেও জানান তিনি।

আতিউর রহমানের পদত্যাগের পর অর্থ লোপাটের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মুহিত বলেন, “তদন্ত তো অলরেডি করা হয়েছে।”

কমিটি বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “হ্যাঁ হ্যাঁ, ওটা বলেছি তো। ড. ফরাসউদ্দিন, তার তো কমিটি অলরেডি আই হ্যাভ অ্যানাউন্সড। দ্যাট উইল বি দেয়ার।”

ওই কমিটিতে কয়জনকে রাখা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আপাতত তিনজন। আমি অপশন রাখছি টু গিভ মোর।”

ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভে সঞ্চিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয় প্রায় এক মাস পর বিদেশি একটি পত্রিকার মাধ্যমে।

এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন,এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে সোমবার দিনভর গুঞ্জনের মধ্যে সন্ধ্যায় অর্থমন্ত্রী জানান, মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করবেন তিনি।

এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনও আহ্বান করেছিলেন মুহিত। তবে সকাল ১১টার দিকে আতিউর রহমান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে পদত্যাগপত্র দেওয়ার পর ওই সংবাদ সম্মেলন বাতিলের ঘোষণা আসে।

বিবৃতি কখন দিবেন-সাংবাদিকরা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আর দেওয়ার দরকার নাই। বিকজ ওটা প্রাইম মিনিস্টারের ওখান থেকে দিয়ে দিয়েছে।”

এ সময়ই সাবেক আমলা ফজলে কবিরকে নতুন গভর্নর করার কথা জানান তিনি।

১৯৫৫ সালের ৪ জুলাই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফজলে কবির। তার পৈত্রিক বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি উপজেলার হাসাইল গ্রামে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা ফজলে কবিরের কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৮০ রেলওয়ের সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে। এর তিন বছরের মাথায় প্রশাসনে যোগ দেন তিনি।

২০১২ সালে অর্থ সচিবের দায়িত্বে আসার আগে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদেও ছিলেন তিনি।

ফজলে কবিরের স্ত্রী মাহমুদা শারমিন বেনু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব।