অর্থমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বাতিল

হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লোপাটের ঘটনায় গভর্নর আতিউর রহমানের পদত্যাগের পর এবিষয়ে অর্থমন্ত্রীর পূর্বঘোষিত সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 March 2016, 05:01 AM
Updated : 15 March 2016, 01:36 PM

অনিবার্য কারণে কারণে মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা শাহেদুর রহমান জানিয়েছেন।

এর আগে সকালে গভর্নর আতিউরের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে যাওয়ার খবরের মধ্যে সকাল ১১টার এই সংবাদ সম্মেলন একদফা পিছিয়ে দুপুর আড়াইটায় নেওয়া হয়।

এর মধ্যে গভর্নর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে পদত্যাগপত্র দেন বলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

অর্থ লোপাটের ঘটনায় তোপের মুখে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান সকালে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চাইলে’ তিনি পদত্যাগের জন্য ‘প্রস্তুত’ আছেন।

সকালে গুলশানে নিজের বাসায় কয়েকজন সাংবাদিককে একথা বলার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গেছেন গভর্নর। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভে সঞ্চিত বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ডলার লোপাটের খবর জানাজানির পর এটাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ।

ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ওই অর্থ লোপাট হলেও বাংলাদেশে তা জানাজানি হয় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ফিলিপিন্সের ডেইলি ইনকোয়ারারে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর।

তদন্তে জানা যায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সুইফট মেসেজিং সিস্টেমে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে সঞ্চিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই অর্থ ফিলিপিন্সের একটি ব্যাংকে সরিয়ে ফেলা হয়।

শ্রীলঙ্কার একটি ব্যাংকে আরও ২০ মিলিয়ন ডলার সরানো হলেও বানান ভুলের কারণে সন্দেহ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংক শুরুতেই বিষয়টি টের পেলেও কর্মকর্তারা তা গোপন করে যাওয়ায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকেও এক মাস পর তা পত্রিকা পড়ে জানতে হয়।

অর্থ লোপাটের বিষয়টি চেপে গিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেভাবে তা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে, তাকে ‘অযোগ্যতা’আখ্যায়িত করে ‘ক্ষুব্ধ’মুহিত রোববার বলেছিলেন, এই ‘স্পর্ধার’জন্য ‘অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

এই কেলেঙ্কারির মধ্যে আইএমএফের এক বৈঠকে অংশ নিয়ে সোমবার ভারত থেকে দেশে ফেরেন গভর্নর আতিউর। পরে রাতেই অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।

“তিনি (অর্থমন্ত্রী) বলেছেন, আমি চলে গেলে বাংলাদেশ ব্যাংক ভালো চলবে। কিন্তু আমি আমার বিবেক দ্বারা চালিত হই। মনে করি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন, তিনি না বললে আমার পদত্যাগ করা উচিৎ নয়,” বলেন গভর্নর।