তিনি বলেছেন, জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে একটি নীতিমালা করার পরই সরকার দাম পুনর্নির্ধারণ করবে।
রোববার মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তবে কবে নাগাদ তা হতে পারে- সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি মুহিত।
এমসিসিআই সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বৈঠকে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জবাবে অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে ‘চিন্তা-ভাবনা’ করার কথা জানান।
বৈঠকের পর সাংবাদিকরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে মুহিত বলেন, আপাতত বিষয়টি ‘বিবেচনা করা হচ্ছে না’- এটাই সরকারের ‘স্টেটমেন্ট’।
“(জ্বালানি তেলের দাম বিষয়ে) আমাদের সুস্পষ্ট কোনো পলিসি নাই। অন্তত সেটা করার চেষ্টা আমরা করছি। সেটা হলে পরে আমরা আশা করছি, কিছু রিভিশন হবে।”
এজন্য কত সময় লাগবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “সময় বলতে পারব না। কেননা এর সঙ্গে সর্বোচ্চ পর্যায় যুক্ত।”
তিনি বলেন, “আমি একটা স্টেটমেন্ট নিয়েছি, তাতে কম-বেশি লস কাভার করেছে।”
সর্বশেষ ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলে ১২২ ডলারে ওঠার পর বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়। সেই হারে বর্তমানে প্রতি লিটার অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রোল ৯৬ টাকা, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এরপার গত দুই বছর ধরে জ্বালানি তেলের দাম কমতে কমতে ৪০ ডলারের নিচে নেমে এলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পুরনো লোকসান কাটাতে দাম অপরিবর্তিত রাখে সরকার।
গতবছর সেপ্টেম্বরে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের পরিকল্পনা সরকারের আছে। কিন্তু এর পরপরই পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এক অনুষ্ঠানে তেলের দাম না কমানোর পক্ষে মত দেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় তেলের দাম না কমার বিষয়টি সে সময় স্পষ্ট হয়ে যায়। সেপ্টেম্বরে ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, “আপনারা তো এই দামে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। কারও তো অসুবিধা হওয়ার কথা না।”