তেলের দাম না কমানোর পক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী

এক বছর ধরে বিশ্ববাজারে দরপতনের পর অর্থমন্ত্রী মূল্য সমন্বয়ের কথা বললেও পরিকল্পনামন্ত্রী জ্বালানি তেলের দাম না কমানোর পক্ষে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2015, 01:47 PM
Updated : 3 Sept 2015, 10:54 AM

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, “আবারও যে কোনও মুহূর্তে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে। এখন কমিয়ে দিলে তখন আবার সরকারকে তেলের দাম বাড়াতে হবে। সরকারের পক্ষে এভাবে ঘন ঘন তেলের দাম পরিবর্তন করা কঠিন কাজ।”

বিশ্ব বাজারে গত এক বছর ধরে জ্বালানি তেলের দরপতন চললেও ভর্তুকির লোকসান থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে তুলতে দাম অপরিবর্তিত রাখে সরকার।

তবে গত সপ্তাহে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কয়েকদিন আগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় সেপ্টেম্বরে করার পরিকল্পনা করছেন তিনি।

বুধবার শেরেবাংলা নগরে এনইসি মিলনায়তনে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, গত এক বছর ধরে তেলের দাম না কমানোটি সঠিক সিদ্ধান্ত। 

“আন্তর্জাতিক বাজারে কম দামে বিক্রি হলেও এখনও তেলের দাম না কমানো ঠিকই আছে। তাছাড়া বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) হাজার হাজার কোটি টাকার পুঞ্জিভূত লোকসান পুষিয়ে নিতে হলে তেলের দাম কমানোর সুযোগ নেই।”

বাংলাদেশে সর্বশেষ ২০১৩ সালে সমন্বয়ের সময় বাড়ানো হয়েছিল জ্বালানি তেলের দাম। বর্তমানে প্রতি লিটার অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রোল ৯৬ টাকা, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তটিও যথার্থ মনে করছেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

“গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাংলাদেশে পৃথিবীর সবচেয়ে কম। গ্যাস ও বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ তুলতে হলে দাম বাড়ানোর বিকল্প ছিল না।”

“সরকার তো আর জনগণকে গ্যাস-বিদ্যুৎ ফ্রি দিতে পারে না।তাহলে সরকার চলবে কীভাবে” পাল্টা প্রশ্ন করেন মুস্তফা কামাল।