চবি ছাত্রলীগ সভাপতি রুবেলকে কেন্দ্রের নোটিশ

‘শৃঙ্খলা পরিপন্থী’ কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2022, 02:28 PM
Updated : 21 July 2022, 06:20 PM

মঙ্গলবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

রুবেলের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এর উপযুক্ত কারণসহ লিখিত জবাব তিন কার্যদিবসের মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দিতে বলা হয়েছে।

কী ধরণের শৃখলা পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে কারণ দর্শানোর এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনি।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সবারই মান সম্মান আছে। চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের কোনো বিষয়ে অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপের দরকার ছিল না।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে রুবেল বলেন, “রাজনৈতিক কারণে আমাকে শোকজ করা হয়েছে। আমি কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সেলে শোকজের জবাব দেব।”

শোকজ পাওয়ার পর বুধবার ঢাকায় যান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল।

এর আগে রোববার রাতে ক্যাম্পাসের হতাশার মোড় থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় নিয়ে এক ছাত্রীকে আটকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। পাঁচজন ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ করা হয়।

ওই ছাত্রীর এক সহপাঠী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ওই ছাত্রী সোমবার বিকালে প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ নিয়ে যায়।

“তখন রেজাউল হক রুবেল ভাই মেয়েটিকে বলে, এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে উল্টো সম্মানহানি হতে পারে। তারপর আমার বান্ধবী ভয়ে অভিযোগ না দিয়েই চলে আসে।”

পরের দিন সোমবার প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মঙ্গলবার হাটহাজারী থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাও করেন।

ওই ছাত্রীকে লিখিত অভিযোগ দিতে বাধা দেওয়ায় এ শোকজ কি না জানতে চাইলে রুবেল বলেন, “আমি ভুক্তভোগী ছাত্রীকে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ দিতে কোনো প্রকার বাধা দিইনি। বরং সহায়তা করেছি।

“কেউ যদি বলে আমি বাধা প্রদান করেছি, তা হলে তা অবশ্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ কয়েকটি দাবিতে একাধিক ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে।

বুধবার রাতে আবাসিক হলের ছাত্রীরা প্রায় আড়াই ঘণ্টা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করে চার দফা দাবি জানায়। দাবি পূরণের আশ্বাসে তারা রাত পৌনে একটায় কর্মসূচি শেষ করে।

এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে। তাতে কয়েকজন শিক্ষকও সংহতি জানিয়ে অংশ নিয়েছেন।

আরও খবর: