বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে পালিত এই কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবিও তোলা হয়।
মানববন্ধনে সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের নাজমুল হাসান বলেন, “রোববার রাতে বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় এক ছাত্রীর সাথে যে ঘটনা ঘটেছে, তার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এড়িতে যেতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত দোষীদের শনাক্ত করে তাদের বিচারের আওতায় আনা।”
রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হলে ফেরার সময় ক্যাম্পাসের হতাশার মোড় এলাকায় আক্রান্ত হন ওই ছাত্রী ও তার এক বন্ধু।
ওই তরুণী অভিযোগ করেছেন, ৫ জন অজ্ঞাতনামা যুবক জোর করে তাদের দুজনকে বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে বিবস্ত্র করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে এবং সেটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
ওই পাঁচ যুবক মেয়েটিকে ধর্ষণের চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে মারধর করে বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।
এই অভিযোগ তদন্তে প্রক্টরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ছাত্রী হলে রাত ১০টার মধ্যে ঢোকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নাজমুল বলেন, “কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা (নিরাপত্তা বিধান) না করে রাত ১০টার মধ্যে হলে মেয়েদের হলে প্রবেশের নির্দেশনা দিয়েছে। তাদের কাজটা এমন হয়েছে যে, মাথা ব্যথা, তাই মাথা কেটে ফেলে দেওয়া।”
মানববন্ধনে মেরিন সায়েন্সেস ও ফিসারিজ ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্বাগত বড়ুয়া বলেন, “একজন ছাত্রীকে যে ধরণের হেনস্তা করা হয়েছে তা শুনে আমরা শঙ্কিত।
“এঘটনার পর থেকে আমরা ক্যাম্পাসে চলাচল করতে অনিরাপদ বোধ করছি। প্রশাসনের উচিত দোষীদের শনাক্ত করে যথাযথ শাস্তি প্রদান করে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।”
মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।