চট্টগ্রামে ঈদ জামাতের নিরাপত্তায় ৪ শতাধিক পুলিশ

কোরবানির ঈদ জামাত ঘিরে কোনো হুমকি নেই জানিয়ে নগরবাসীর নিরাপত্তায় এক গুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 July 2022, 03:46 PM
Updated : 7 July 2022, 03:46 PM

বৃহস্পতিবার সিএমপি সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে কোরবানির ঈদে নিরাপত্তা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।

সিএমপি কমিশনার জানান, ঈদ জামাতের নিরাপত্তায় সিএমপির চার শতাধিক সদস্য নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি ছুটিতে বিভিন্ন আবাসিক এলাকাগুলোতেও পুলিশের নজরদারি থাকবে।

সিএমপি কমিশনার তানভীর বলেন, “ঈদ জামাতে কোন ধরনের হামলা বা নাশকতার শঙ্কা নেই। তবুও নাগরিকদের নিরাপত্তায় চেকপোস্ট স্থাপনসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।”

বাসা খালি রেখে বেড়াতে না যেতে নগরবাসীকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “বাসা খালি রাখার বিষয়টি আমরা নিরুৎসাহিত করি সবসময়। কেউ বাসা খালি রেখে কোথাও গেলে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ব্যাংকের লকারে রেখে যাওয়ার অনুরোধ করছি।”

চট্টগ্রাম থেকে কাঁচা চামড়া পাচার নিয়ে আশঙ্কা কম থাকলেও চামড়া বেচাকেনায় পুলিশের নজরদারি থাকবে বলে জানান সিএমপি প্রধান।

জনউপদ্রব সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, “উচ্চস্বরে গান বাজনা, হর্ন বাজিয়ে অনিয়ন্ত্রিত গতিতে মোটরসাইকেল চালানো এবং খোলা ট্রাকে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে উপদ্রব সৃষ্টি করে- এমন কর্মকাণ্ড কেউ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চট্টগ্রাম মহানগরীতে আটটি স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসেছে। সেগুলোর নিরাপত্তায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে সাদা পেশাকে পুলিশের নজরদারি চলছে।

পশুবহনকারী ট্রাক জোর করে কোন হাটে নিতে কেউ যাতে বাধ্য করতে না পারে তা নজরে রাখা এবং নগদ অর্থ পরিবহনে পুলিশের নিরাপত্তা সেবার কথা তুলে ধরা হয় সেখানে।

সিএমপিতে জনবল সংকট

চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে ২২ মাস দায়িত্ব পালন করেছেন সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। সম্প্রতি তাকে চট্টগ্রাম থেকে বদলি করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনটি দায়িত্ব হস্তান্তরের আগে চট্টগ্রামে তার শেষ সংবাদ সম্মেলন জানিয়ে কমিশনার তানভীর জানান, সিএমপিতে তিনি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছেন জনবল সংকট নিয়ে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হিসেবে সেখানে পুলিশ সদস্যদের অনেক বেশি দায়িত্ব পালন করতে হয়।

সিএমপি প্রধানের দায়িত্ব পালনে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করেছি। আমার সহকর্মীদেরও আন্তরিকতার কোন ঘাটতি ছিল না কাজে।”

সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. শামসুল আলম, অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) সানা সামীনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।