মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ, ল্যান্ড ক্রুজার, রেঞ্জ রোভার, জাগুয়ারের মত জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল এসব গাড়ি নিলামের ক্রেতাদের কাছে হস্তান্তরে সরবরাহ আদেশ জারি করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা বিলাসবহুল এসব গাড়ির নিলাম সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ৩৪টি গাড়ির নিলাম অনুমোদন করা হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার আল আমীন।
এ দফায় নিলামে তোলা ১০৮টি গাড়ির মধ্যে বাকি ৭৪টি গাড়ি বিক্রির জন্য আবার নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে উপকমিশনার আল আমীন জানান, নিলামের এসব ক্রেতারা প্রদেয় মূল্যের ৯০ শতাংশ অর্থ জমা দিয়ে এসব গাড়ি ছাড় করাতে পারবেন।
তিনি বলেন, “নিলাম মূল্যের সাথে ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর এবং ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কর যুক্ত হয়ে এ দর নির্ধারিত হবে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এবারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ক্লিয়ারেন্স পারমিট সংগ্রহ করায় ক্রেতাদের তা করতে হবে না।“
গত ২৭ জুন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের নিলাম কমিটি দরপত্রে উল্লেখ করা দর এবং আগের নিলামের দর বিবেচনায় নিয়ে ৩৪টি গাড়ির নিলাম অনুমোদন করেছে।
কাস্টমসের এক কর্মকর্তা জানান, এবারে দরপত্রে একটি গাড়ির বিপরীতে সর্বোচ্চ দর পড়েছে ৬১ লাখ ১৫ হাজার ৭০০ টাকা। বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে কর মিলিয়ে মোট মূল্য দাঁড়াবে ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সে হিসাবে প্রতিটি গাড়ির গড় বিক্রয়মূল্য হবে ৩২ লাখ টাকার একটু বেশি।
এর আগে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের ৩ ও ৪ নভেম্বর কারনেটের আওতায় (পর্যটকদের জন্য বিশেষ সুবিধা) আনা ১১২টি গাড়ির নিলাম করেছিল। এরপর ১৬ নভেম্বর ১১০টি গাড়ি কিনতে আগ্রহী সর্বোচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশ করা হয়; যেখান থেকে সরকারি নিয়ম মেনে তিনটি গাড়ি বিক্রি হয়েছিল।