চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম সারোয়ার জাহানের আদালতে মঙ্গলবার মামলাটি করেন বিবি আয়েশা (২৯) নামের এক নারী।
বাদীপক্ষের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত শেষে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
“পাশাপাশি ঘটনার দিনের হাসপাতালের তিনটি ফ্লোর ও আশেপাশের সিসিটিভি ভিডিও সংগ্রহ এবং অজ্ঞাতনামা আসামিদের শনাক্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দিয়েছে আদালত।”
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ৩ জুলাই বাদী তার স্বামী রেজাউল ইসলাম ও দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ননদকে দেখতে যান।
ঘটনার দিন বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের মূল ভবনের দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত ওঠার পর সিঁড়িতে মেরামত কাজ চলমান দেখে তারা লিফটের বোতামে চাপ দেন। এ সময় লিফটম্যান জানান, লিফটিটি চিকিৎসকদের জন্য, তাতে ওঠা যাবে না।
বাদীর ভাষ্য, ওই সময় লিফটে আরও সাধারণ মানুষ দেখতে পেয়ে তা বলার পর তার স্বামী রেজাউলকে গালি দেন লিফটম্যান মো. রাজু। গালি দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে আসামিরা তাকে টেনে লিফটে ঢুকিয়ে ফেলে।
পরে রেজাউল ইসলামকে হাসপাতালের পঞ্চম তলায় ৩২৬ নম্বর রুমে নিয়ে আটকে রেখে মারধর করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে বাদীকেও মারধর করা হয়।
পরে হাসপাতালে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা এসে বাদী ও তার স্বামীকে উদ্ধার করেন। তাদের চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়।