আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে করা মামলায় শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় বলে পাহাড়তলী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান।
নওশাদ ১২ নম্বর সরাইপাড়ার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমিন কালুর ছেলে।
ওসি বলেন, “লাশ উদ্ধারের পর নওশাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। রাতে মামলা হওয়ার পর আমরা তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছি।”
শনিবার সকালে বন্দরনগরীর ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের পদ্মা পুকুর পাড়ে কাউন্সিলর নুরুলের বাড়ি থেকে তার পুত্রবধূ রেহনুমা ফেরদৌস মিতুলের (২৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মিতুল ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের প্রয়াত কাউন্সিলর তারেক সোলেমান সেলিমের বড় ভাই তারেক ইমতিয়াজ ইনতুর মেয়ে।
চার বছর আগে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা নওশাদের সঙ্গে মিতুলের বিয়ে হয়। দুই বছর আটমাস বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে তাদের।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান শনিবার বলেছিলেন, “আমরা খবর পেয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বাসার একটি কক্ষে শোয়ানো অবস্থায় ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করি।”
মিতুলের বাবা তারেক ইমতিয়াজ এ ঘটনায় মেয়ের স্বামী ও তার শাশুড়িকে আসামি করে ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনার’ অভিযোগে একটি মামলা করেন।
তারেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার মেয়েকে আগে থেকেই নওশাদ ও তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে মানসিকভাবে নির্যাতন করত। রোজার ঈদের আগে তিন মাস আমাদের বাড়িতে ছিল। পরে মহানগর আওয়ামী লীগনেতা আ জ ম নাছির উদ্দিনের মধ্যস্থতায় মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হয়।”
মিতুলের সঙ্গে তার স্বামীর বনিবনা হচ্ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, “কয়েক মাস ধরে স্বামীর সঙ্গে একই কক্ষে থাকতও না।”
আরও খবর: