চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে ৫.১%

গেল অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং বেড়েছে, জাহাজও এসেছে আগের বছরের চেয়ে বেশি।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2022, 03:24 PM
Updated : 1 July 2022, 03:24 PM

বৃহস্পতিবার শেষ হওয়া ২০২১-২০২২ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে ৩২ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৮ টিইইউ (প্রতিটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের সমান) কন্টেইনার ওঠানো-নামনো হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৫.১০ শতাংশ বেশি।

২০২০-২০২১ অর্থবছরে দেশের প্রধান এ সমুদ্রবন্দরে ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ২৩৬ টিইইউ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও বন্দর একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। দক্ষ পরিচালনাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ায় বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংসহ বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি হয়েছে।”

গেল অর্থবছরে এ বন্দরে ১১ কোটি ৮১ লাখ ৭৪ হাজার ১৬০ মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে। আগের অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ১১ কোটি ৩৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৭৩ মেট্রিক টন। অর্থাৎ এক বছরে কার্গো ওঠানামা বেড়েছে ৪ শতাংশের মত।

সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে ১৬৯টি জাহাজ বেশি এসেছে আগের বছরের চেয়ে। এ সময়ে আসা মোট জাহাজের সংখ্যা ৪ হাজার ২৩১; আগের অর্থবছরে এ সংখ্যা ছিল চার হাজার ৬২।

বন্দর সচিব বলেন, “বন্দরে জাহাজের গড় অবস্থানকাল কমেছে। দ্রুত বার্থিং পাচ্ছে এবং বন্দর ত্যাগ করছে। নতুন ইক্যুইপমেন্ট যুক্ত হয়েছে এবং সক্ষমতা বাড়ায় বন্দরে জাহাজ আসার সংখ্যা বেড়েছে। ভবিষ্যতেও এ অগ্রগতি ধরে রাখতে চাই।”

দেশের মোট আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯২ শতাংশ হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। কার্গো ও কন্টেইনার পরিবহনের ক্ষেত্রে এ হার প্রায় ৯৮ শতাংশ।

করোনাভাইরাস মহামারীর সময় চট্টগ্রাম বন্দর একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি জানিয়ে চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, “আমাদের কর্মীরা দিনরাত কাজ করেছে। গ্যান্ট্রি ক্রেইনসহ বিভিন্ন ইক্যুইপমেন্ট যুক্ত হয়েছে। রুশ-ইউক্রেইন যুদ্ধের ফলে বিভিন্ন সংকটের মধ্যেও বন্দরের অগ্রগতি হয়েছে।”

চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সরাসরি জাহাজ পরিষেবা চালুর বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “সব মিলিয়ে আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে। সে কারণে কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং বেড়েছে।”

বিষ্যতে আরও অনেক নতুন যন্ত্রপাতি যুক্ত হবে জানিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, “স্লোভেনিয়া, পর্তুগালসহ ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশের সাথে সরাসরি জাহাজ পরিষেবা চালু হবার কথা চলছে। সবমিলিয়ে ভবিষ্যতে হ্যান্ডলিংসহ অন্যান্য সূচকে আরও অগ্রগতি হবে।”