সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বর্জনের আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে যারা পরিণত করতে চায় তাদের বর্জনের ডাক দিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2022, 02:52 PM
Updated : 1 July 2022, 02:52 PM

শুক্রবার বিকালে নগরীর প্রবর্তক মোড়ে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) আয়োজিত রথযাত্রার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, যারা সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে লালন-পালন করে, রাজনীতি করে, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে যারা দেশে গণ্ডগোল পাকায়, যারা এই অসাম্প্রদায়িক দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, অতীতে করেছিল, তাদেরকে আপনারা চেনেন, তাদেরকে বর্জন করুন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে যে অসম্প্রদায়িক চেতনাকে বুকে ধারণ করে আমাদের পূর্বসূরীরা দেশ রচনা করেছিলেন, লাল-সবুজ পতাকার জন্ম হয়েছিল সেই চেতনার মূলে আঘাত হানা হল। রাষ্ট্রের পরিচয় বদলে দেওয়া হল। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টা হল, অনেক ক্ষেত্রে তারা সফলও হয়েছিল।

‘‘১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর যেই চেতনার ভিত্তিতে রাষ্ট্র রচিত হয়েছিল সেই রাষ্ট্রের মূল চরিত্র ফিরিয়ে আনার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা চেষ্টা চালিয়েছেন। গত সাড়ে ১৩ বছর ধরে দেশ পরিচালনার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রের যে পরিচয় নষ্ট করা হয়েছিল সেটি আবার পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও অনেক কাজ বাকি আছে।“

হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের এই দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করে এবং এ অপশক্তি মাঝেমধ্যে সাপের মত ছোবল মারার চেষ্টা করে। বিভিন্ন সময় সেই অপচেষ্টা হয়েছে। আমাদের সরকার সেগুলোকে কঠোর হস্তে দমন করেছে। আমরা যেকোনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে কঠোর হস্তে দমন করতে বদ্ধপরিকর।

নির্বাচন অতি সন্নিকটে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা আবারও একই স্লোগান নিয়ে হাজির হবে। আমাদের সরকার হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য অনেক কাজ করেছে।

“১৯৬৫ সালের যুদ্ধের পর একটি আইন করা হয়েছিল পাকিস্তান আমলে, শত্রু সম্পত্তি আইন। দেশের তিন কোটি মানুষকে শত্রু আখ্যা দিয়ে কোনো আইন হতে পারে না। সে কারণে আমাদের নেত্রী সেই আইন পাল্টে দিয়েছেন। সেই আইনের সুযোগ নিয়ে যে সম্পত্তিগুলো বেহাত হয়েছিল সেগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। আরও নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।“

ইসকন প্রবর্ত্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ দাশ ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন ও ইসকন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী।